ফ্রান্সে প্রতিবাদকারীরা লিওনার্দোর মোনালিসাকে বেছে নেন কেন
প্যারিসের বিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে লিওনার্দো দা ভিঞ্চির বিখ্যাত মোনালিসা চিত্রকর্মে স্যুপ ছুড়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। তবে চিত্রকর্মটি বুলেটপ্রুফ কাঁচ দিয়ে সুরক্ষিত থাকায় এর কোনো ক্ষতি হয়নি।
ফ্যান্সে সরকারের কোনো নীতির বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ থাকলে প্রতিবাদের জন্য ‘মোনালিসা চিত্রকর্ম’ বেছে নেওয়া এক ধরনের প্রবনতা তৈরি হয়েছে। এর কারণ হলো চিত্রকর্মটি বিখ্যাত হওয়া এটার সঙ্গে প্রতিবাদকে জুড়ে দিতে পারলে সেটা অনেক বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। এই ধারণা থেকে বারাবার প্রতিবাদকারীরা মোনালিসা চিত্রকর্মকে টার্গেট করে।
বিবিসি জানিয়েছে, একটি ভিডিওতে দুই বিক্ষোভকারীকে ‘স্বাস্থ্যকর ও টেকসই খাদ্য’র অধিকারের দাবি জানাতে দেখা গেছে। তারা অভিযোগ করে বলেছে, ‘আমাদের কৃষি ব্যবস্থা অসুস্থ’।
মোনালিসা ১৯৫০ এর দশকের গোড়ার দিকে নিরাপত্তা কাঁচ দিয়ে সুরক্ষিত করা হয়। এক দর্শনার্থী চিত্রকর্মটির দিকে অ্যাসিড ছুড়ে মারার পর এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপরেই এটিকে সুরক্ষিত করার উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ।
২০১৯ সালে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বলেছিল, এটির সুরক্ষায় বুলেটপ্রুফ গ্লাসের আরও স্বচ্ছ ফর্ম স্থাপন করেছে তারা।
এর আগে ২০২২ সালে অক্টোবরেও চিত্রকর্মটির দিকে কেক ছুড়ে মেরেছিলেন এক প্রতিবাদকারী। কেক ছুড়ে তিনি মানুষকে ‘পৃথিবীর কথা ভাবতে’ আহ্বান জানানোর বার্তা দিয়েছিলেন।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিগত কয়েক দিনে কৃষকদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। সেখানে তারা জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি রোধসহ বিভিন্ন দাবি তুলেছেন। বিক্ষোভের অংশ হিসেবে গত শুক্রবার তারা প্যারিস ও শহরটির বাইরের প্রধান কিছু সড়ক অবরোধ করেন।
পেইন্টিংটি ১৯১১ সালে ল্যুভর থেকে চুরি হয়। ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মহলে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি করে তখন। ভিনসেনজো পেরুগিয়া নামের জাদুঘরের এক কর্মচারী পেইন্টিংটি রাতারাতি আলমারিতে লুকিয়ে রাখে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশিবার জাদুঘর পরিদর্শন করা ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত তিনি।
দুই বছর পর পেইন্টিংটি যখন তিনি ইতালির ফ্লোরেন্সের একজন অ্যান্টিক জিনিসপত্র কেনাবেচাকারী ডিলারের কাছে বিক্রির চেষ্টা করেন তখন এটি উদ্ধার করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/এসআইএস)