অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২

সিলেটের গোলাপগঞ্জে স্বামীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।

রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার (গোলাপগঞ্জ সার্কেল) সজল কুমার সরকার।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো- পৌরসভার টিকরবাড়ি এলাকার মৃত মফিক মিয়ার ছেলে নাদির আহমদ (২৩) ও আমুড়া ইউনিয়নের আমুড়া গ্রামের মৃত লবিবুর রহমানের ছেলে ছালিক আহমদ (৪০)। নাদির আহমদ সিএনজি অটোরিকশা চালক ও ছালিক আহমদ আদিল মার্কেটের নৈশ প্রহরী দায়িত্বে ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সজল কুমার সরকার জানান, ৩০ মে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে বাবার বাড়ি সিলেট নগরীর কদমতলী এলাকা থেকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নে স্বামীর বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ। বাড়িতে এসে স্বামীকে না পেয়ে পুনরায় ওই সিএনজি অটোরিকশায় সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। এসময় স্বামীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে সুকৌশলে সিএনজি অটোরিকশা চালক নাদির আহমদ ও তার এক সহযোগী গোলাপগঞ্জ পৌরসভার টিকরবাড়ি এলাকায় নাদির আহমদের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখেন ওই গৃহবধূকে। পরে রাত ২টার দিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাতভর ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে আসামি নাদির। পরবর্তীতে ফজরের আজানের পর রাত সাড়ে ৪টার দিকে নাদির আহমদ ওই গৃহবধূকে পৌর শহরের চৌমুহনীতে আদিল মার্কেটে তার সহযোগী ছালিক আহমদের কাছে নিয়ে আসে। আদিল মার্কেটের ২য় তলায় নাদির আহমদ ও ছালিক আহমদ দুজনে মিলে ওই গৃহবধূকে পুনরায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করে এবং ঘটনাটি কাউকে না বলার শর্তে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দেয়।

এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদি হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি আসামি ছালিক আহমদ আদালতে স্বীকার করেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

(ঢাকাটাইমস/০২জুন/প্রতিনিধি/পিএস)