মিটফোর্ডে প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা: এখনো ঘটনার বিস্তারিত কারণ জানতে পারেনি র্যাব

পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (মিটফোর্ড) সামনে জনসম্মুখে ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তবে এখনো হত্যাকাণ্ডের পেছনের বিস্তারিত কারণ সম্পর্কে কোনো তথ্য নিশ্চিত হতে পারেনি বাহিনীটি।
তিনি বলেন, “ঘটনার তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারে আমরা ছায়া তদন্ত চালাচ্ছি। তবে বিস্তারিত কিছু জানানোর মতো অবস্থায় এখনো আমরা পৌঁছাইনি।”
তিনি জানান, গত ৯ জুলাই বিকালে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সোহাগকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব ডিজি বলেন, “মামলার এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি আলমগীর (২৮) ও ৫ নম্বর আসামি মনির ওরফে ‘লম্বা মনির’ (৩২)-কে শুক্রবার রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “মামলার মূল তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। র্যাব ছায়া তদন্তের মাধ্যমে ডিএমপিকে সহায়তা করছে। প্রাথমিকভাবে চাঁদাবাজি ও স্থানীয় ব্যবসায়িক বিরোধের তথ্য পাওয়া গেলেও ঘটনাটির প্রকৃত কারণ উদঘাটনে সময় লাগবে।”
র্যাব ডিজি বলেন, “আমরা এখনো তদন্তের এমন পর্যায়ে পৌঁছাইনি, যেখানে নিশ্চিতভাবে হত্যাকাণ্ডের কারণ বলা সম্ভব। তবে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
উল্লেখ্য, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/এলএম)

মন্তব্য করুন