ফেনীতে রান্নাঘরে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু

ফেনীর পরশুরামে ঘর থেকে বন্যার পানি নামার পর বাড়ি ফিরে রান্নাঘরে সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে পরশুরাম পৌরসভার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ফেনীর সিভিল সার্জন মোহাম্মাদ রুবাইয়াত বিন করিম।
নিহত রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) ওই গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তিনি এক ছেলে ও দুই কন্যা সন্তানের জননী।
রিনার স্বজনরা জানায়, বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে যাওয়ায় বুধবার শফিকুল-রিনা দম্পতি নিরাপদ স্থানে আশ্রয়ে যান। বন্যার পানি কমায় শুক্রবার বিকালে তারা বাড়িতে ফেরেন।
সন্ধ্যায় রিনা রান্নাঘরে প্রবেশ করলে ওই ঘরে লুকিয়ে থাকা একটি সাপ রিনার পায়ে কামড় দেয়। রিনার চিৎকারে শফিকুল তাকে উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
তবে সেখানে সাপে কামড়ের প্রতিষেধক অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন না নিয়ে তিনি রোগীকে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক রিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে নিহতের স্বামী শফিকুল বলেন, “পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্ত্রীকে নিয়ে গেলে আশানুরূপ চিকিৎসা না পেয়ে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার কাছ থেকে একটি লিখিত স্টেটমেন্ট নিয়ে রাখেন।”
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. রেদোয়ান বলেন, “সাপের কামড়ের শিকার গৃহবধূকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। পরে তার মরদেহ স্বজনরা বাড়ি নিয়ে যায়।”
ঠিক সময় রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে প্রতিষেধক টিকা দিলেই বাঁচানো যেত বলে জানান এ চিকিৎসক।
ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ রুবাহয়াত বিন করিম বলেন, ‘পরশুরাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী আসার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু হয়। তবে স্বজনরা লিখিতভাবে জানিয়ে তাকে ফেনীতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তখনই রোগীর স্বাস্থ্যের অবনতি শুরু হয় এবং দ্রুত এন্টিভেনম প্রস্তুত করা হলেও রোগীর স্বামী ফেনীতেই চিকিৎসা করাবেন জানিয়ে রেফার করেন। পথে রোগীর মৃত্যু হয়।’
তিনি আরও জানান, ‘সাপে কাটা রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় এন্টিভেনম ফেনীর প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই মজুত রয়েছে। তাই দেরি না করে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে হবে।’
(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/এলকে)

মন্তব্য করুন