যে কারণে একসময় প্রায়ই কাঁদতেন সাইফ আলি খান

তাকে বলা হয় বলিউডের ছোট নবাব। ভারতীয় ক্রিকেট দলের একসময়ের তারকা মনসুর আলি খান পতৌদি এবং বিখ্যাত অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর দম্পতির একমাত্র ছেলে তিনি। জন্মেছিলেন সোনার চামচ মুখে দিয়ে। সেই সাইফ আলি খানকেই নাকি একটা সময় রাতের পর রাত অঝোরে কাঁদতে হয়েছিল!
হ্যা, প্রথম স্ত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নাকি সাইফের এমন অবস্থা হয়েছিল। সাইফ-অমৃতার সংসার টিকেছিল ১৩ বছর। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। তারা হলেন- অভিনেত্রী সারা আলি খান ও তার ছোট ভাই ইব্রাহিম আলি খান। ইব্রাহিম এখনো বলিউডে আসেননি।
কিন্তু কেন প্রতিনিয়ত কাঁদতে হয়েছে পতৌদির ছোট নবাব সাইফ আলি খানকে?
অমৃতার সঙ্গে সংসার ভাঙা নিয়ে কখনো লুকোচুরি করেননি সাইফ। তিনি খোলামেলাভাবেই জানিয়েছেন সেসব কথা। সাইফের কথায়, অমৃতা অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এজন্য সংসার ভেঙে যায়। অমৃতা তার সঙ্গে সন্তানদেরও সম্পর্ক ছিন্ন করে দিতে চেয়েছিলেন। কোনো রকম সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে দিতেন না। কোনোরূপ যোগাযোগই করতে দিতেন না।
সাইফের সন্তান সারা ও ইব্রাহিমের সঙ্গে কোনোভাবেই দেখা করতে দিতেন না অমৃতা। তার ধারণা ছিল, দুই সন্তান তাদের মায়ের থেকে দূরে সরে যাবে। এজন্য নিরুপায় হয়ে সাইফ নিজের কাছে দুই সন্তানের ছবি রাখতেন। মাঝেমধ্যে ছবি বুকে নিয়ে আদর করতেন আর অঝোরে কাঁদতেন। সন্তানদের সঙ্গে কথা বলার উপায় ছিল না তার।
তবে সাইফ সন্তানদের খুব কেয়ার করতেন। তাই বিচ্ছেদের পর স্ত্রীর মোহরানার টাকা নিয়ে তিনি কোনো ঝামেলায় যাননি। দিয়েছিলেন নগদ টাকা। তবে নবাবপুত্রের তখন একসঙ্গে নগদ পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া খুব কঠিন হয়ে যায়। সাইফ প্রতিমাসে এক লাখ টাকা করে দেওয়া শুরু করেন। সন্তান ইব্রাহিম বড় না হওয়া পর্যন্ত তিনি এভাবেই চালিয়ে যান।
কিন্তু এভাবেও তার প্রতি মাসে টাকা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ ২০০৪ সালে সাইফের অর্থনৈতিক অবস্থা ততটা ভালো ছিল না। এজন্য তার সামনে যে ছবি বা বিজ্ঞাপনের অফার আসতো তাই তিনি লুফে নিতেন। সব টাকা জমিয়ে রাখতেন অমৃতাকে দেবেন বলে। এমনকি নিজের দুটি ফ্লাটের একটিতে তিনি থাকতেন, আর একটি ছেড়ে দিয়েছিলেন।
তবে বর্তমানে দিন বদলেছে। এখন সাইফ আলি খানের আলো ঝলমলে সুখের জীবন। একের পর এক বিগবাজেটের ছবি করে অবস্থা ফিরেছে তার। প্রচুর টাকা ঋণ পরিশোধ করে পূর্বপুরুষের পতৌদি প্যালেসও নিজের করে নিয়েছেন। অভিনেত্রী কারিনা কাপুরকে বিয়ে করে হয়েছেন আরও দুই সন্তানের বাবা।
(ঢাকাটাইমস/০২জুন/এজে)

মন্তব্য করুন