নারী সংগঠন ‘চেষ্টা’র সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, বহিষ্কার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০২ জুন ২০২৪, ১৬:৩৫
অ- অ+

স্বেচ্ছাসেবী ও নারী কল্যাণমূলক সংগঠন ‘চেষ্টা’র সভাপতি লাইলা নাজনীন হারুনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে তাকে বহিষ্কারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সহ-সভাপতি রাফেয়া আবেদীনসহ সাধারণ সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাধারণ সদস্য সাদেকুন নাহার পাপড়ি বলেন, 'চেষ্টা' একটি নারী সংগঠন। ২০১৩ সালে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার থেকে নিবন্ধিত একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী, জনকল্যাণ ও নারী কল্যাণমূলক সংগঠন। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সুবিধা বঞ্চিত নারীদের সাহায্য করে মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে সংগঠনটি। বিশেষ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নির্যাতিত নারীদের এবং সমাজের অবহেলিত, বঞ্চিতের মাঝে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে। সদস্যদের চাঁদা ছাড়াও সরকার ও বিত্তবানদের অনুদানে চলছে সংগঠনটি।

তিনি বলেন, চেষ্টার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত একটি কমিটিসহ সাধারণ সদস্যসের নিয়ে কাজগুলো করে আসছিলো। কিন্তু সংগঠনের বর্তমান সভাপতি নির্বাহী কমিটির কোনো মিটিং না ডেকে তার পছন্দের দুই তিনজন সদস্যকে নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার মধ্য দিয়ে সংগঠনের টাকা তছরূপ করছেন। যা স্বনামে পরিচিত সংগঠনটির ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে সংগঠনটি মহান মুক্তিযুদ্ধের যে আদর্শ ও উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নে কাজ করছিল তা বাদ দিয়ে সভাপতি ও একজন উপদেষ্টার একক সিদ্ধান্তে অন্যান্য কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে। তারা এখন নাচ-গানের সংগঠনে পরিণত করছে।

তিনি আরও বলেন, সভাপতি লায়লা নাজনীন ও সাধারণ সম্পাদক দিলরুবা বেগম এবং তার ভাইয়ের মেয়ে কোষাধ্যক্ষ সিফাত ই নূর একক সিদ্ধান্তে কাজ করছেন। আমরা আমাদের সংগঠনে বিতর্কিত উপদেষ্টা না রাখার আপত্তি জানালেও সভাপতি অজ্ঞাত কারণে বাদ দিচ্ছেন না। সংগঠনের টাকা তছরূপ এবং অগঠনতান্ত্রিকভাবে গায়ের জোরে কমিটি বহাল রাখায় আমরা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করি। মন্ত্রণালয় তদন্ত সাপেক্ষে কমিটি বিলুপ্ত করার নির্দেশ দেয় এবং পাঁচজনকে দিয়ে অ্যাডহক কমিটি গঠন ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করে নতুন কমিটি গঠনের কথা বলে। কিন্তু সভাপতি কোনো আইন না মেনে টাকা ইচ্ছে মতো ব্যয় করছেস। অনুদানের কোনো সঠিক হিসেব দিচ্ছেন না। স্বেচ্ছাচারিতা করছেন।

প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সহ-সভাপতি রাফেয়া আবেদীন বলেন, লায়লা নাজনীন সভাপতি হওয়ার পর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসহ বেশ কিছু সদস্যের পদ খারিজ করে দিয়েছেন। গঠনতন্ত্র না মেনে এরই মধ্যে তিনি প্রায় ২০ জনকে সদস্য করেছেন। যাকে খুশি তাকে সদস্য বানানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন। সংগঠনের অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়মের কারণে সভাপতির পদত্যাগ ও বিচার দাবি করছি।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সেলিনা বেগম শেলী, সাধারণ সদস্য ভিকারুননিসা চিনু, সাজেদা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০২জুন/এমআই/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
রংপুরে রোহিঙ্গা নারীকে জন্মনিবন্ধন দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
৬০ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে ভারত: আশঙ্কা পাক তথ্যমন্ত্রীর
কলকাতায় হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিন সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতিতে সরকারের সংশ্লিষ্টতা? যা বললেন উপদেষ্টা ফারুকী
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা