আগামী নির্বাচনেই প্রবাসীদের ভোট চালু, প্রয়োজন রাজনীতিকদের সমর্থন: সিইসি

দেশের নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলে আসছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে হলেও তারা প্রবাসীদের ভোট চালু করতে চান। তবে এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে এক সেমিনারে এ কথা জানান সিইসি। প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিকসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের নিয়ে দিনব্যাপী সেমিনারটি হয়।
পৃথিবীর অনেক দেশে প্রবাসীদের ভোটের ব্যবস্থা আছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘তবে অনেক দেশ এটি শুরু করেও পারেনি নানা সমস্যায়। পাশের দেশ ভারতও এটি চালু করতে পারেনি। আমরা এটি চালু করতে চাই। সীমিত পরিসরে শুরুটা অন্তত হোক।’
সিইসি বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার প্রথমেই ওয়াদা করেছিলাম, আসছে নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটের ব্যবস্থা করব। প্রবাসীরাও দেখা করে ভোটের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন। আমরা ইনহাউস এটা নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। বুয়েট, ডুয়েট, এমআইএসটিসহ দেশি-বিদেশি ফার্মকে যুক্ত করে একটা ব্যবস্থা বের করার চেষ্টা করেছি।’
আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে সিইস আরও বলেন, ‘দেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতা ও শিক্ষা- সবকিছু পর্যালোচনা করে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। মানুষের আস্থা যেন থাকে, কম খরচে যেন বাস্তবায়ন করতে পারি সেই পদ্ধতি বেছে নিতে হবে ।’
অংশীজনদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘যাত্রা শুরু হোক। এ জন্য আপনাদের সমর্থন চাই। আশা করি, সমর্থন পাব।’ রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন না পেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সব উদ্যোগ বিফলে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ভোটিং ও প্রক্সি ভোটিংয়ের যেকোনো একটি পদ্ধতি চালু করতে চায় ইসি। বিভিন্ন কর্মশালা ও সেমিনারে এসব বিষয়ে আলোচনা ও পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, এমআইএসটি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়ে একাধিক কর্মশালার করেছে ইসি। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিবিদদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে অ্যাডভাইজরি টিম।
আজকের সেমিনারে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট চাই। এই উৎসবে প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করতে চাই।’ প্রবাসীরা ভোট দিতে না পারলে ভোটের প্রদানের হারে প্রভাব পড়ে বলে জানান তিনি।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমের সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সেমিনারে অংশ নেন।
(ঢাকাটাইমস/২৯এপ্রিল/মোআ)

মন্তব্য করুন