‘আমরা সনাতনরা ভালো আছি, একটি মহলের সহ্য হচ্ছে না’

একটি মহল হিন্দু সম্প্রদায়ের ভালো থাকাটা সহ্য করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন মুরাদনগর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি দীন দয়াল পাল। তিনি বলেছেন, ওই মহলটি অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিএনপির সম্প্রীতি নষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্রের লিপ্ত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পূজা উদযাপন কমিটির নেতা। মুরাদনগর উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বী জনতার ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনটি হয়।
কুচক্রী হলটি অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে অভিযোগ করে দীন দয়াল বলেন, ‘এরা বলছে, আমরা নাকি বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছি। কিন্তু আমি বলতে চাই, মুরাদনগরের শান্তিপ্রিয় হিন্দুধর্মালম্বীরা ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে চাঁদা দেওয়া তো দূরের কথা হীনন্মন্যতায়ও ভুগতে হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘রাজীব আহমেদ নামে এক ফেসবুক অ্যাক্টিভিস্ট বিএনপি নেতা কায়কোবাদকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের মামলা রয়েছে। রাজীব আহমেদ আমাদের নেতাদের নাম নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করেছেন। এতে আমাদের বাকস্বাধীনতা হুমকির মুখে।’
রাজিবকে আওয়ামী লীগের দোসর বলে অভিহিত করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘রাজিব ফেসবুকে অপপ্রচার করে যে সনাতন ধর্মাবলম্বী রামচন্দ্রপুরের প্রবীণ ব্যবসায়ী নিতাই চন্দ্র সাহা থেকে নাকি বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন মোল্লা চাঁদা নিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ অপপ্রচার এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিএনপির সম্প্রীতি নষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।’
এ সময় মুরাদনগর উপজেলা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নেতা দুলাল দেবনাথ বলেন, বিএনপি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে কোনো চক্রই বিভেদ সৃষ্টি করতে পারবে না।
৫ আগস্টের পরে মুরাদনগরে পূজা-পার্বন বা যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে উদযাপনে শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ তার নিজের লোক দিয়ে সহযোগিতা করেছেন জানিয়ে দুলাল দেবনাথ বলেন, ‘কিন্তু বর্তমানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পিতা এবং তার ভাই ওবায়দুল্লাহর নেতৃত্বে গত ১৫ বছরের মতো নির্যাতন ও আওয়ামী লীগ পুনর্বাসিত হওয়ার চেষ্টা করছে। কায়কোবাদ দাদার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য তারা বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করছে।’
ঢাকার সংবাদ সম্মেলন বানচাল করতে পুলিশ ও মুরাদনগরের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক ব্যবহৃত হয়েছে জানিয়ে দুলাল দেবনাথ বলেন, ‘আজকে আমরা এই সংবাদ সম্মেলনে যেন না আসি সেজন্য আসিফ মাহমুদের বাবা দুজনজন হিন্দু কমিউনিটির লোক দিয়ে বাধা সৃষ্টি করেছে। আজ আমরা যখন মুরাদনগর থেকে ঢাকামুখী হয়ে দাউদকান্দি টোল প্লাজা আসি তখন পুলিশ দিয়ে আমাদের আটকে দেয়।’
এ ঘটনার নেপথ্যের ব্যক্তিদের বিচার চান দেব দুলাল। বলেন, ‘কারা এর পেছনে রয়েছে, এর বিচার আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে চাই।’ মুরাদনগরে যেন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে সেজন্য প্রধান উপদেষ্টার তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার আশা করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নেতা নিবাস চন্দ্র ঘোষ, বিপ্লব কুমার সাহা, রঞ্জন রায়, দয়ানন্দ ঠাকুরসহ অন্তত ৭০ জন সনাতন ধর্মাবলম্বী।
(ঢাকাটাইমস/২৯এপ্রিল/এলএম/মোআ)

মন্তব্য করুন