সেসে বাউয়ের অর্ধশতকে লড়াইয়ের পুঁজি পেল পাপুয়া নিউগিনি

চলছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের মাঠের লড়াই। যেখানে উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে পাপুয়া নিউগিনি। ব্যাটিংয়ে নেমে ক্যারিবীয় বোলারদের বোলিং তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে পাপুয়া নিউগিনি।
আজ রবিবার (২ জুন) গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দুবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ক্যারিবীয় বোলারদের বোলিং তোপে মাত্র ৫০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এরপর জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন চার্লস আমিনি ও সেসে বাউ। চার্লস আমিনি ১২ রানে ফিরে গেলেও অর্ধশতক তুলে নেন সেসে বাউ। সেসে বাউয়ের অর্ধশতকে ভর করে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে পাপুয়া নিউগিনি।
বাছাই পর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে পাপুয়া নিউগিনির হয়ে প্রথম ম্যাচে ওপেনিংয়ে নামেন টনি উরা ও আসাদ ভালা। তবে নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন তারা। দলীয় ৫ রানে টনি উরার বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি। ৫ বলে ২ রান করা টনি উরা রোমারিও শেফার্ডের বলে নিকোলাস পুরানের হাতে ক্যাচ ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে।
টনি উরার বিদায়ের পরের ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন লেগা সিয়াকা। আকিল হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। তার বিদায়ে ৭ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে পাপুয়া নিউগিনি।
৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন আসাদ ভালা ও সেসে বাউ। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে পাপুয়া নিউগিনি। তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি আলজারি জোসেফ। আলজারি জোসেফের বলে রোস্টন চেজের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ২২ বলে ২১ ন্স করা আসাদ ভালা।
আসাদ ভালার বিদায়ের পর প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন হিরি হিরি। ৬ বলে ২ রান করে গুদাকেশ মতির বলে রোভম্যান পাওয়েলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাপুয়া নিউগিনি।
৫০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করে চার্লস আমিনি ও সেসে বাউ। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িযে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ব্যক্তিশতক তুলে নেনসে বাউ। এই জুটিতে ভর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছির পাপুয়া নিউগিনি। তবে দলীয় ৯৪ রানে চার্লস আমিনির বিদাযে ৪৪ রানে ভেঙে যায় এই জুটি।
চার্লস আমিনির বিদায়ের পরের ওভারেই ফিরে যান অর্ধশতক তুলে নেওয়া সেসে বাউ। আলজারি জোসেফের বলে বোল্ড হযে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি।
এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর জুটি গড়েন চাদ সোপার ও কিপলিন ডোরিগা। সপ্তম উইকেটে এই জুটির ১৫ বলে ২৪ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে পাপুয়া নিউগিনি।
(ঢাকাটাইমস/০২জুন/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন