সুবর্ণচরে চুরি নয়, মা-মেয়েকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যেই কাটা হয় ঘরের সিঁধ

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেছ গ্রামে চুরি নয় ধর্ষণের উদ্দেশ্যেই সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করেন আবুল খায়ের মুন্সিসহ ধর্ষণ মামলার আরও দুই আসামি।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এসব কথা বলেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহম্মদ আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতেই চুরি ছিল আসামিদের কৌশল।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, মুন্সি মেম্বার ওই গৃহবধূকে নাতনি বলে সম্বোধন করতেন। দীর্ঘদিন ধরেই তাকে মুন্সি মেম্বার বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ছিলেন। নিজের স্ত্রী নেই তাই তার প্রতি খেয়াল রাখতে বলে গৃহবধূকে একাধিকবার কুপ্রস্তাবও দিয়েছিলেন। এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হন তিনি। কিছুদিন আগে গৃহবধূর স্বামী একটি গরু বিক্রি করেন এবং ওই গরু বিক্রির টাকা তাদের ঘরে আছে ভেবে গৃহবধূর ঘরে প্রবেশের পরিকল্পনা করেন মুন্সি ও হারুন। পুলিশ সুপার বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সিঁধ কেটে ওই গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করেন দুজনেই। এ সময় মুন্সি ও হারুন প্রথমে গৃহবধূর হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে খাট থেকে নামিয়ে পায়ের বাঁধন খুলে ধর্ষণ করেন। একই সময় মেহেরাজ পাশের কক্ষে থাকা গৃহবধূর পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে একই কায়দায় ধর্ষণ করে। পরে তারা ঘটনাটি চুরি বলে চালিয়ে দিতে ওই ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়। কিন্তু গৃহবধূ ও তার মেয়ে মুন্সি ও হারুনকে চিনে ফেলেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, সিঁধ কাটায় ব্যবহৃত কোদাল, একটি দা এবং ঘটনার সময় ব্যবহৃত মুন্সি মেম্বারের মানকি টুপি ও প্যান্ট জব্দ করা হয়েছে। আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে এবং রিমান্ডের আবেদন করে বুধবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হবে। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- চরকাজী মোখলেছ গ্রামের গোলাপ রহমানের ছেলে আবুল খায়ের মুন্সি মেম্বার (৬৭) ও একই গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে মেহেরাজ (৪৮)। এ মামলায় এখনো পলাতক রয়েছেন হারুন প্রকাশ গরু হারুন নামে আরও এক আসামি। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন এসপি।
(ঢাকাটাইমস/৭ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)

মন্তব্য করুন