এস আলমের পোড়া চিনির পানি মিশছে কর্ণফুলীতে, পরিবেশের ক্ষতির শঙ্কা

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৫ | প্রকাশিত : ০৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৮

চট্টগ্রামের এস আলম সুগার মিলে আগুনে পোড়া গুদাম থেকে গলে যাওয়া অপরিশোধিত চিনি গিয়ে পড়ছে পাশের কর্ণফুলী নদীতে।

এতে কর্ণফুলী নদীর পানি এবং জীব-বৈচিত্র্যের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। সে কারণে পোড়া বর্জ্যগুলো সরাসরি নদীতে পড়া ঠেকানো দরকার।

তবে এস আলম গ্রুপের কর্মকর্তারা বলছেন, অপরিশোধিত চিনির বর্জ্যে পরিবেশের ‘কোনো ক্ষতি হবে না’।

সোমবার বিকাল ৪টার আগে কর্ণফুলী থানার ইছাপুর এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের চারটি গুদামের মধ্যে একটিতে আগুন লাগে।

ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু বুধবার দুপুর পর্যন্ত তা পুরোপুরি নেভানো যায়নি।

হালদা নদী গবেষক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, পুড়ে যাওয়া চিনি নদীতে পড়লে অবশ্যই নদীর ক্ষতি হবে। এতে পানিতে অক্সিজেনের শূন্যতা সৃষ্টি হবে। এ কারণে পানিতে থাকা জীব-বৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তাই এসব যাতে নদীতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে জোয়ার-ভাটার কারণে এই সমস্যা এক সময় পূরণ হবে। তাও সময় সাপেক্ষ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার এসব লাভা যে কর্ণফুলী নদীতে যাচ্ছে তা আমার জানা ছিল না। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে এস আলম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (অ্যাডমিন) আকতার হাসান বলেন, আগুনে পোড়া চিনি কর্ণফুলীতে যাচ্ছে না। এসব নিজস্ব জমিতে ডাম্পিং করা হচ্ছে। আর নদীতে গেলেও তা নদী কিংবা জীব-বৈচিত্র্যের কোনো ক্ষতি হবে না। কেননা এখানে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক নেই।

ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (প্রশাসন অর্থ) জসিম উদ্দিন বলেন, যেখানে আগুন লেগেছে সেটিতে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি মজুত ছিল। এগুলো এক ধরনের দাহ্য পদার্থ। পানি দিয়েও এ আগুন নেভানো যাচ্ছে না। এ কারণে আগুন নেভাতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নির্বাপণে কাজ করছে। গুদামটির চারপাশ থেকে পানি দেওয়া হচ্ছে। গুদামটির টিন খুলে ফেলা হচ্ছে।

এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. হোসেন বলেন, গুদামটিতে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল। যার সবটুকুই পুড়ে গেছে। যার বাজার মূল্য এক হাজার কোটি টাকার বেশি।

(ঢাকাটাইমস/৬মার্চ/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :