বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার নাম ব্যাটিং

নিবেদিতা বিনতে ওয়াদুদ, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১২ মে ২০২৪, ১৬:৪২ | প্রকাশিত : ১২ মে ২০২৪, ১৬:২৭

দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর কিছুদিন পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপে বসবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। আসন্ন এই বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। যেখানে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেয় টাইগাররা। তবে বড় ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ভয়াবহ অবস্থা ফুটে হয়েছে। যা বিশ্বকাপের আগে অনেক বড় দুশ্চিন্তার বিষয়।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ। এই জয়ে বড় অবদান বোলারদের। কেননা প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশের বোলারদের বোলিং তোপে মাত্র ১২৪ রানেই অলআউট হয় সফরকারীরা। ১২৫ রানের জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৪ ওভার ৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে টাইগাররা।

সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও আগে ব্যাটিংয়ে নামে জিম্বাবুয়ে। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে সফরকারীরা। যার ফলে তারা মাত্র ১৩৮ রানেই গুটিয়ে যায়। ১৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জয় পেতে ঘাম ঝরাতে হয় টাইগারদের। এই ম্যাচে পুরোপুরি ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৬২ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার। মিডল অর্ডারের দৃঢ়তায় এই ম্যাচে ছয় উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামের সাগরিকায় সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার। মাত্র ৬০ রান তুলতেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিন ব্যাটার। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে মিডল অর্ডারের কল্যাণে বড় জয় পায় বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচের ঠিক উল্টো চিত্র দেখা যায় সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে। এদিন বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে আনা হয় পরিবর্তন। ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি লিটন দাসকে বাদ দিয়ে ওপেনিংয়ে নামানো হয় ইনজুরি থেকে ফেরা সৌম্য সরকারকে। তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে সৌম্যের এই জুটি থেকে আসে ১০১ রান। তবে এদিন ওপেনিং জুটি ভালো করলেও ব্যর্থ ছিল মিডল অর্ডার, লোয়ার অর্ডার। ১০১ থেকে ১৪৩। মাত্র ৪২ রানের ব্যবধানে ১০টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। যা নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের এমন হযবরল ব্যাটিং দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলে সবার কপালে।

তবে এমন বাজে ব্যাটিংয়ের দিনেও সতীর্থদের দায় দিতে রাজি নন চতুর্থ ম্যাচে ওপেনিংয়ে ভালো রান করা সৌম্য সরকার। তার মতে, 'প্রত্যেক ম্যাচে তো সবাই ভালো করবে না। গত ম্যাচগুলোতে ওরাই (মিডল-অর্ডার) তো ভালো করেছে। তো একদিন ওদের হতেই পারে। এটা নিয়ে কিছু না। ওরা পরের ম্যাচেই আবার ঘুরে দাঁড়াবে।'

তবে সৌম্যের এমন কথায় কাজ হয়নি খুব একটা। সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে আবারও একই গল্প। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচের পুনরাবৃত্তি দেখা গেলো পঞ্চম ম্যাচেও। এই ম্যাচেও ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার। পঞ্চম ম্যাচে মাত্র ১৫ রানেই ফিরে যান টপ অর্ডাররা। মিডল অর্ডারের কল্যাণে কোনো রকমে দেড়শো রান পার করে বাংলাদেশ। তাতে তো খুব একটা লাভ হয়নি। এই ম্যাচে আট উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অবস্থা এমন যে টপ অর্ডার খারাপ করলে মিডল অর্ডার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, টপ অর্ডার ভালো করলে মিডল অর্ডার পারবে না। এক বিভাগ ভালো করলে অন্য বিভাগে ব্যর্থতা থেকেই যাচ্ছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে মোকাবিলা করতে হবে বড় দলগুলোর। বড় দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশের এমন হযবরল ব্যাটিং যে ভোগাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না, বিশেষ করে যদি বোলাররা বিপক্ষের দলকে চেপে ধরতে ব্যর্থ হন।

(ঢাকাটাইমস/১২মে/এনবিডব্লিউ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :