পৃথিবীতে মোট কত ধরনের চা আছে? জানলে চোখ কপালে উঠবে আপনারও

সারা বিশ্বেই চা একটি জনপ্রিয় পানীয়। বাংলাদেশেও প্রচুর পরিমাণে মানুষ প্রতিদিন একাধিকবার এই পানীয়তে চুমুক দিয়ে স্বস্তির ঢেঁকুর তোলেন। অনেকের তো সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ ধোয়া ওঠা চা না হলেই দিনই শুরু হয় না। ক্লান্তি দূর করতে এই পানীয়র জুড়ি মেলা ভার।
কিন্তু প্রতিদিন একাধিকবার চাযের কাপে চুমুক তো দেন, জানেন কি পৃথিবীতে মোট কত ধরনের চা আছে? একটু আন্দাজই করুন নাহয়। আপনার আন্দাজকৃত সংখ্যাটা যদি হয় শ’য়ের কোঠায়, তাহলে একটু বুক চেপে বসুন! কারণ, সংখ্যাটা যে আপনার কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যাবে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটে জানা যাচ্ছে, পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত মোট ২০ হাজারেরও অধিক ধরনের চা আছে! তবে মজার ব্যাপার হলো, এসবের ভেতর অল্প কিছুর মধ্যেই আদতে চা পাতা আছে!
জ্বী, চা পাতা ছাড়াও চা হতে পারে। মানে মানুষ এভাবেই চেনে বলে আর কী। এগুলোকে একত্রে শুধু Tea-এর বদলে বলা হয় Herbal Tea অর্থাৎ, ভেষজ চা। যেসব চা-তে আসল চা গাছ অর্থাৎ Camellia sinensis-এর পাতা থাকে না, সেগুলোই হলো হার্বাল চা।
এই চা-কে অনেকে Tea-এর বদলে Infusion বলে চেনে। এর এক রাশভারী নামও আছে- Tisane (ফ্রেঞ্চ শব্দ, অর্থ- herbal infusion, উচ্চারণ হবে- Tih Zann)।
হার্বাল চা তৈরি করা যায় শুধু পাতা থেকেই না, এক বা একাধিক গাছের ফুল, ফল, কান্ড, বীজ কিংবা মূল থেকেও। এগুলোর এক একটির রং হয় নজরকাড়া। সেই সঙ্গে সুন্দর ঘ্রাণও থাকতে পারে। সম্প্রতি যে অপরাজিতা ফুলের চা সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়েছিল, তাও আসলে এক রকম হার্বাল চা।
এসব হার্বাল চা কিন্তু শুধু এর সৌন্দর্য কিংবা আভিজাত্য প্রকাশের জন্য খাওয়া হতো না, বরং এগুলোর উপকারিতার জন্য এগুলো প্রাচীন যুগ থেকে খেয়ে আসা হচ্ছে। সেই খ্রিষ্টপূর্ব ১৫৫০ সন থেকেই বিভিন্ন প্রকার হার্বাল চা প্রচলিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়।
বর্তমানে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি কোম্পানির হার্বাল চা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তুলসী, পুদিনা, জবা, ক্যামোমিল, ত্রিফলা, অর্জুন, আদা, কমলা, বেরি ইত্যাদি নানা ধরনের চা আজকাল এদেশে জনপ্রিয় হয়েছে। এগুলোর কোনটি মিষ্টি বা তিতা, আবার কোনটি হয়তো ফ্লেভারহীন। হাতের কাছে উপকরণ থাকলে বাসাতেও হার্বাল চা বানিয়ে ফেলা যায়।
একেক চায়ের একেক উপকারিতা তো আছেই, সেই সঙ্গে একেবারে ক্যাফেইন ফ্রি হওয়ায় এগুলো সারা বিশ্বের চা-প্রেমীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। নিয়মিত সেবনে এগুলো সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে দূরে তো রাখেই, এমনকি করোনা প্রতিরোধেও ভূমিকা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তাই আপনি চা-খোর হোন বা না-ই হোন, আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে যে কোনো এক প্রকার হার্বাল চা রাখার চেষ্টা করুন। তাতেই খেলা ঘুরে যাবে। প্রশস্ত হবে আপনার সুস্থ থাকার পথ। ভালো কথা, আজ কিন্তু বিশ্ব চা দিবস।
(ঢাকাটাইমস/২১মে/এজে)

মন্তব্য করুন