লস অ্যাঞ্জেলেসে এবার মেরিন সেনা মোতায়েন, বিক্ষোভ বাড়ছেই

অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড়ের প্রতিবাদে টানা চতুর্থ দিন বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস শহর। ক্রমশ বাড়ছে বিক্ষোভের মাত্রা। এই পরিস্থিতিতে ক্যালিফোর্নিয়ার এই চলচ্চিত্র নগরে বিক্ষোভ দমনে ন্যাশনাল গার্ডের পর এবার মেরিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানায়, লস অ্যাঞ্জেলেসের বিস্তৃত এলাকায় ফেডারেল কর্মী ও ফেডারেল সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে যেসব বাহিনী কাজ করছে, তাদের সহায়তায় কাজ করবে মেরিন সেনারা।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সোশ্যাল ট্রুথে এক বার্তায় বলেছেন, ন্যাশনাল গার্ড না দিলে লস অ্যাঞ্জেলেস ধ্বংস হয়ে যেত। ট্রাম্প লেখেন, ‘ক্যালিফোর্নিয়ায় সহিংস, উসকানিমূলক দাঙ্গা মোকাবিলার জন্য ন্যাশনাল গার্ড পাঠানোর সিদ্ধান্তটি চমৎকার ছিল। আমরা যদি এমনটা না করতাম, তা হলে লস অ্যাঞ্জেলেস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেত।’
গভর্নরের মতামত ছাড়াই বিক্ষোভ দমনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন গভর্নর গ্যাভিন নিউসম।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সানফ্রান্সিসকোর ফেডারেল আদালতে মামলাটি করা হয়। এতে ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা বিভাগকে বিবাদী করা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর জন্য তৎপর হয়ে ওঠেন। গত কয়েক দিনে লস অ্যাঞ্জেলেস-সহ ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন দপ্তরের কর্মকর্তারা হানা দেন। অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়। শুক্রবার থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত অভিবাসন দপ্তর ১১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।
এ ধরপাকড়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয় লস অ্যাঞ্জেলসে এবং বিক্ষোভের মাত্রা ক্রমশ বাড়ছে।
বিক্ষোভ দমনে রবিবার রাতভর বিভিন্ন স্থান থেকে ১৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ছয়জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক। পরে ১৪৭ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের অর্ধেক সান ফ্রান্সিসকোর, অন্যরা শহরের বাইরের বাসিন্দা।
(ঢাকাটাইমস/১০জুন/মোআ)

মন্তব্য করুন