করোনা: জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত ভ্রমণে না যেতে পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১০ জুন ২০২৫, ০৮:৩২| আপডেট : ১০ জুন ২০২৫, ১১:১২
অ- অ+

দেশে নতুন ধরনের করোনা সংক্রমণ সতর্কতা হিসেবে ভারতসহ কয়েকটি দেশে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সংস্থাটির রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনাসহ এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরে করোনা সতর্কবার্তায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। করোনার ঝুঁকি মোকাবিলায় দেশের সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়াতেও বলা হয়েছে সেখানে।

নির্দেশনায় বলা হয়, প্রতিবেশী ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন সাব ভেরিয়েন্ট, বিশেষ করে অমিক্রন এলএফ. ৭, এক্সএফজি, জেএন-১ এবং এনবি ১.৮.১ এর সংক্রমণ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর সম্ভাব্য সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশ এবং বাংলাদেশ থেকে ভারত এবং অন্যান্য সংক্রামক দেশে ভ্রমণকারী নাগরিকদের জন্য দেশের সব স্থল, নৌ, বিমানবন্দরের আইএইচআর ডেস্কে নজরদারি জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবিলায় কিছু কার্যক্রম নিতে হবে।

গত বৃহস্পতিবার দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়। অল্প হলেও দেশে এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা করোনার নতুন একটি ধরন এক্সএফজি শনাক্তের কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিও পাওয়া গেছে। দুটোই করোনার শক্তিশালী ধরন অমিক্রনের জেএন-১ ভ্যারিয়েন্টের উপধরন।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা

১. সাতবার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোবেন (অন্তত ২৩ সেকেন্ড)।

২. নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

৩. আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরে থাকতে হবে।

৪. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা যাবে না।

৫. হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু, কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে।

দেশে প্রবেশপথের জন্য নির্দেশনা

দেশের বিভিন্ন স্থল, নৌ, বিমান বন্দরসমূহে আইএইচআর (IHR-2005) স্বাস্থ্য ডেস্কসমূহে সতর্ক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেল্যান্স জোরদার করতে হবে।

দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রিসমূহে থার্মাল স্কান্যার, ডিজিটাল হেন্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করতে হবে।

চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক (পিপিই) মজুত রাখতে হবে।

ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনাগুলো প্রচার করতে হবে।

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়

অসুস্থ হলে ঘরে থাকতে হবে।

মারাত্মক অসুস্থ হলে কাছের হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।

রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

প্রয়োজন হলে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে (০১৪০১-১৯৬২৯৩) যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্শেনায়।

(ঢাকাটাইমস/১০জুন/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ, হামজাসহ থাকছেন চার প্রবাসী
প্রতীক্ষিত ভালোবাসা
বিএনপির হাতে ১২৩ খুন, মির্জা ফখরুলের ভিন্নমত পোষণ
২০২৬ সালের রমজান ও দুই ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা