‘শিশু উপদেষ্টাদের’ অপকর্মের দায় সরকারকে নিতে হবে: কায়কোবাদ

‘শিশুর হাতে ছুরি তুলে দিলে দায় শিশুর নয়, দায় অভিভাবকের’—এই উদাহরণ টেনে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ বলেছেন, 'শিশু উপদেষ্টাদের’ অপকর্মের দায় সরকারকে নিতে হবে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে তাদের বিচার হলে বর্তমান সরকারও আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে পারে।
সোমবার বিকালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ১৬ নম্বর ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা শব্দরখান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন কুমিল্লা-৩ আসনের পাঁচবারের এই সাবেক সংসদ সদস্য।
বক্তব্যের শুরুতেই আবেগময় ভাষায় কায়কোবাদ বলেন, ‘আমি আপনাদের গ্রামে আসব, ঘরে বসব, ল্যাটকা দিয়ে বসে গল্প করব। এই গ্রাম আমার, এই জনতা আমার। আমি আপনাদের কামলা। বাকি জীবন কামলা হয়েই কাটিয়ে দিতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘এই ইউনিয়নে ফ্যাসিবাদের দোসর ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের জন্ম হলেও এই গ্রামের মানুষ সবসময় আমার সঙ্গে আছে। তারা আমাকে বারবার নির্বাচিত করেছে। এজন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এসময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার অবদানের কথা স্মরণ করেন। বলেন, ‘এই দেশের কোটি মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার খালেদা জিয়া।’ এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেন অতি দ্রুত দেশে ফিরে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে পারেন, সে প্রত্যাশাও করেন।
নির্বাচন নিয়ে কায়কোবাদ বলেন, ‘আপনারা এখন থেকেই নির্বাচনের কাজে নেমে পড়ুন। সামনে নির্বাচনই আমাদের প্রধান কাজ। ইনশাআল্লাহ, ধানের শীষের বিজয় হবেই, বিএনপি-ই সরকার গঠন করবে।’
'শিশু উপদেষ্টা' প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে কায়কোবাদ বলেন, ‘কোনো শিশুকে যদি তার অভিভাবক হাতে ছুরি ধরিয়ে দেয়, এবং সেই শিশু যদি ছুরি দিয়ে কাউকে খুন করে—তাহলে কি দায় শিশুর? না, দায় অভিভাবকের। এই সরকারের ছত্রছায়ায় শিশু উপদেষ্টাদের হাতে ধারালো অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা যত অপকর্ম করেছে, সব দায় সরকারকেই নিতে হবে। ভবিষ্যতে এই অপকর্মের বিচার হলে সরকারও আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াবে।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার, সদস্য সচিব এফ এম তারেক মুন্সী, যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ তৌফিক মীর, মোল্লা মহিউদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন। উপস্থাপনায় ছিলেন ধামঘর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন খোকন ও যুবদলের সদস্য কাউসারউল্ল্যাহ সাইফি।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শিল্পপতি কাজী জুননুন বশরী, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোল্লা মজিবুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, নজরুল ইসলাম, ফারুক সরকার মজিব, সোহেল আহমেদ বাবু, যুবদলের নেতা এডভোকেট তৌহিদুর রহমান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি চৌধুরী রকিবুল হক শিপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নাছির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
(ঢাকা টাইমস/০৯জুন/এলএম/এসএ)

মন্তব্য করুন