ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রতিবেশি দেশগুলোর ওপর নজর রাখতে বললেন রাজনাথ

চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ প্রতিবেশি দেশগুলোর প্রতি ভারতের সামরিক বাহিনীকে নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
রাজনাথ সিং বলেছেন, ‘ভারত শান্তিপ্রিয় দেশ। শান্তি রক্ষার জন্য ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
রাজনাথ সিং রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-হামাস সংঘাত এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে সামরিক কমান্ডারদের এসব ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণের পরামর্শ দেন এবং সামরিক বাহিনীকে ‘অপ্রত্যাশিত’ ঘটনা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলেন।
বৃহস্পতিবার ভারতের উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌতে সশস্ত্র বাহিনীর জয়েন্ট কমান্ডারস কনফারেন্সে সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিটি ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর (পিআইবি) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
রাজনাথ বলেন, ‘ভারত শান্তিপূর্ণভাবে বিকশিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা সত্ত্বেও ভারত একটি অসাধারণ শান্তির সুফল উপভোগ করছে। তবে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের কারণে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। অমৃতকালের সময় আমাদের শান্তি অটুট রাখা গুরুত্বপূর্ণ।’
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বর্তমানের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। বর্তমানে আমাদের চারপাশে যা ঘটছে, এমন কার্যকলাপের ওপর নজর রাখতে হবে। ভবিষ্যৎমুখী হওয়ার দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। এ জন্য আমাদের একটি শক্তিশালী ও বলিষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা উপাদান থাকা দরকার। আমাদের অব্যর্থ প্রতিরোধ থাকা উচিত।’
রাজনাথ এসময় ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর অস্ত্রাগারে ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক যুদ্ধ-সরঞ্জাম যথোপযুক্তভাবে সম্মিলন করতে সামরিক কমান্ডারদের প্রতি আহ্বান জানান।
ভারতের সামরিক নেতৃত্বকে তথ্য ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) খাতের সবশেষ প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এসব উপকরণ সরাসরি কোনো সংঘাত বা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে না। তবে তাদের পরোক্ষ অংশগ্রহণ অনেকাংশে যুদ্ধের গতিপথ নির্ধারণ করে দেয়।’
এছাড়াও মহাকাশ ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধের সক্ষমতা বিকাশের ওপর জোর দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এগুলোকে তিনি আধুনিক দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অবিচ্ছেদ্য বিষয় হিসেবে বর্ণনা করেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন। সম্মেলনে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে জাতির সামনে বর্তমান ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর চৌধুরী, প্রতিরক্ষা সচিব গিরিধর আরামানে প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/০৬সেপ্টেম্বর/এসআইএস)

মন্তব্য করুন