দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন অতীশী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:১৭

ভারতের রাজধানী দিল্লির ৮ম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির নেতা ও বর্তমান শিক্ষা ও পূর্ত মন্ত্রী অতীশী মারলেনা সিং। দলের প্রধান ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেই অতীশীর নাম প্রস্তাব করেছেন। মঙ্গলবার বিকালে উপরাজ্যপালের কাছে কেজরিওয়ালের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর দায়িত্ব নেবেন অতিশী।

আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শনিবার শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। একই দিনে ঘোষণা দিয়েছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার এবং বিধানসভা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আম আদমি পার্টির (আপ) অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কেজরিওয়ালের এই ঘোষণার পরই প্রশ্ন ওঠে, কে হবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী?

পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা ঠিক করতে মঙ্গলবার সকালে কেজরিওয়ালের বাসভবনে বৈঠকে বসে আপের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের নেতা দিলীপ পাণ্ডে কেজরিওয়ালকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান। এর পর কেজরিওয়াল শিক্ষামন্ত্রী অতিশীর নাম প্রস্তাব করেন। একবাক্যে তা মেনে নেন দলের বিধায়করা। করতালি দিয়ে তারা সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। ফলে পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে অতিশীর রাস্তা একেবারে পরিস্কার।

৪৩ বছর বয়সি অতীশী দিল্লি সরকারের ১৪টি দপ্তরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। যা এই মুহূর্তে দিল্লির সরকারের কোনও মন্ত্রীর নেই। এছাড়া কেজরিওয়াল ও সিসোদিয়া জেলে থাকার সময় দলের একাধিক কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। কেজরিওয়ালের স্ত্রীর সঙ্গেও প্রত্যেক কর্মসূচিতে দেখা গেছে তাকে।

জানা গেছে, কেজরিওয়ালের বিশ্বস্ত নেতাদের মধ্যে একজন অতীশী। তাকে ভরসা করেন কেজরিওয়াল। সিসোদিয়া জেলে যাওয়ার পর শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব পান অতীশী। দিল্লির বাজেটও পেশ করেন তিনি।

মূলত, চলতি বছরের মার্চে আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে দেশটির অর্থনৈতিক গোয়েন্দা ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)। শুক্রবার এই মামলায় কেজরিওয়ালকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, জামিনে মুক্তি পেলেও মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে যেতে পারবেন না কেজরিওয়াল। সই করতে পারবেন না সরকারি নথিতে। এমনকী, আবগারি নীতি নিয়ে কোনও মন্তব্যও করতে পারবেন না।

জেল থেকে বেরোনোর পর প্রথমেই দলীয় কার্যালয়ে যান কেজরিওয়াল। সেখানেই তিনি পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা দেন। কেজরিওয়াল বলেন, ‘আমি দেশের জনতার কাছে জানতে চাই কেজরিওয়াল কি সৎ? দুইদিন পরে আমি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেব। যতক্ষণ জনগণ তার মতামত না দিচ্ছেন, ততক্ষণ আমি মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসব না।’

সূত্র: এনডিটিভি

(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :