বাচ্চাদেরও হতে পারে হৃদরোগ! সুরক্ষার উপায় কী জানুন
হৃৎপিণ্ড হলো আমাদের শরীরের পাম্প। এই অঙ্গটিই আমাদের গোটা শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন ও পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে দেয়। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটানোর ইচ্ছে থাকলে এই অঙ্গের দিকে নজর ফেরাতেই হবে।
তবে মুশকিল হলো, এখনকার ভুলে ভরা জীবনযাত্রা ও তেল সমৃদ্ধ ডায়েটের সাঁড়াশি আক্রমণে হৃৎপিণ্ডের বারোটা বেজে যাচ্ছে। ফলে ছোটরাও আক্রান্ত হচ্ছে হার্টের রোগে। তাই তো চিকিৎসকরা সব অভিভাবককেই বাচ্চার হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
ভালো খবর হল, আমাদের হাতের কাছে থাকা কয়েকটি খাবারই হৃদযন্ত্রের জন্য একদম মহৌষধের সমান। তাই আর দেরি না করে এসব হার্ট হেলদি ফুড সম্পর্কে জেনে নিয়ে সেগুলো সন্তানের পাতে রাখুন। তাতেই বাচ্চার হার্ট থাকবে সুস্থ-সবল।
শতমূলী থাকুক পাতে
শতমূলী হলো ফোলেটের ভাণ্ডার। এই উপাদান করোনারি আর্টারি ডিজিজ এবং স্ট্রোক প্রতিরোধে সিদ্ধহস্ত। তাই ছোট্ট সোনাকে একদম ছোট বয়স থেকেই শতমূলীর পদে অভ্যস্ত করে তুলুন। এতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে। হার্টের পাশাপাশি তার গোটা শরীরের হাল-হকিকতও বদলে যাবে।
বিনস খাওয়াতে ভুলবেন না
সব ধরনের বিনসে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার, যা দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। খারাপ কোলেস্টেরলকে বশে রাখতে পারলে অনায়াসে হার্টের হাল ফেরানো যায়। সুতরাং ছোট্ট সোনার ডায়েটে যত দ্রুত সম্ভব বিনসের পদ যোগ করে দিন। এতেই মিলবে উপকার।
বেরি জাতীয় ফলের জুড়ি মেলা ভার
স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরির মতো ফলে রয়েছে অত্যন্ত জরুরি কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পলিফেনলস, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। এসব ফল ফাইবার, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি’রও ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত এসব ফল খেলে দেহের সার্বিক স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে।
ব্রকোলির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে দিন
বর্তমানে সারা পৃথিবীর প্রথম সারির সব চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা ব্রকোলির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এই সবজিতে রয়েছে এমন কিছু চমকপ্রদ উপাদান, যা শরীরের হাল ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। হার্টের স্বাস্থ্য ফেরানোর কাজেও এর বিকল্প খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তাই ছোট্ট সোনাকে একদম ছোটবেলা থেকেই ব্রকোলির পদ খাওয়ান।
ডার্ক চকোলেটই মহৌষধ
ছোটরা চকোলেট খেতে এমনিতেই ভালোবাসে। তাই এবার থেকে সাধারণ চকোলেটের বদলে তাদের ডার্ক চকোলেট খাওয়ান। এতেই কিন্তু তাদের স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে। এমনকি সুস্থ থাকবে হার্ট। তাহলে শুভ কাজে আর দেরি কেন!
(ঢাকা টাইমস/৩০অক্টোবর/এজে)
মন্তব্য করুন