যুক্তরাষ্ট্রে আদানির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, এরপর কী?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:১৯
অ- অ+

ভারতের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির বিরুদ্ধে বুধবার ঘুস ও জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। ফলে তাকে এখন দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে৷

গৌতম আদানি ও তার ভাইয়ের ছেলে সাগর আদানিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তারা ভারতের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির জন্য ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের ২৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঘুস দিয়েছেন৷ এই প্রকল্প থেকে ২০ বছরে দুইশ কোটি ডলার লাভ করতে পারবে আদানি৷

আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ঘুসের সাহায্যে এই প্রকল্প পাওয়ার বিষয়টি গোপন করেছেন৷ এর মাধ্যমে তিনি মার্কিন বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন৷

এদিকে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আদানি গ্রুপ এসব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন' বলেছে৷ তারা একটি ‘আইন মেনে চলা কোম্পানি' বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়৷

এরপর কী?

আদানিকে বিচারের মুখোমুখি করতে চাইলে মার্কিন প্রসিকিউটরদের যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে ভারতের কাছে চাইতে হবে৷

যুক্তরাষ্ট্র আদানিকে চাওয়ার আবেদন করলে ভারতের আদালত সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে৷ সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে৷ যেমন, আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি ভারতেও অপরাধ কিনা, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা বা যুক্তরাষ্ট্রে আদানির অমানবিক আচরণের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা৷

আদানি এই প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে লড়তে পারেন৷ এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কত সময় লাগবে তা স্পষ্ট নয়৷ আদানির বিরুদ্ধে ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুস দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে, তাই প্রত্যর্পণের বিষয়টির রাজনৈতিক দিকও রয়েছে৷

আদানি কি আদালতে অভিযোগ খণ্ডন করতে পারবেন?

হ্যাঁ, তবে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে তার হাজির হওয়ার আগ পর্যন্ত তার আইনজীবীরা একটি বিষয় চ্যালেঞ্জ করতে পারেন৷ সেটি হচ্ছে, তারা যুক্তি দিতে পারেন, আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার এখতিয়ার মার্কিন প্রসিকিউটরদের নেই৷

আর আদানি মার্কিন বিচারকের সামনে হাজির হলে তার আইনজীবীরা বলতে পারেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে আইনগত ঘাটতি আছে বা এর পক্ষে তথ্যপ্রমাণ নেই৷

অভিযোগ দাখিলের সময় মার্কিন প্রসিকিউটরেরা ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক এবং মোবাইল ফোন ও মেসেজিং অ্যাপ রেকর্ড উপস্থাপন করেছেন৷

আদানি তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কিছু অংশ স্বীকার করে প্রসিকিউটরদের কাছে শাস্তির পরিমাণ কমাতে আবেদনও করতে পারেন৷ যদিও প্রসিকিউটরেরা এমন আলোচনায় ঢুকতে বাধ্য নন৷ এছাড়া এধরনের কোনো চুক্তি হলে সেটি একজন বিচারক দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে৷

আদানিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যর্পণ করা হলে বা তিনি নিজে যুক্তরাষ্ট্রে আত্মসমর্পণ করলেও বিচার শুরু হতে অনেক দেরি হতে পারে৷

কী শাস্তি হতে পারে?

অভিযোগ প্রমাণ হলে আদানির কয়েক দশকের জেল হতে পারে, সঙ্গে আর্থিক জরিমানাও হতে পারে৷ তবে বিষয়টি বিচারকের উপর নির্ভর করে৷

আদানিকে অভিযুক্ত করতে হলে ১২ জনের একটি জুরিকে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দিতে হবে৷ এছাড়া আদানি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন৷

সূত্র: ডয়চে ভেলে, রয়টার্স

(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/এমআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটি, ২৫০০ ফুট উড়ে শাহজালালে ফিরে এল বিমান
এইচএসসি পরীক্ষার্থী আনিসার প্রথম পত্রের পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত বিবেচনাধীন: শিক্ষা উপদেষ্টা
এক সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বিরাট উল্লম্ফন, ৩০ বিলিয়নের মাইলফলক
খুলনায় গুলিতে যুবক নিহত, আরও দুজন গুলিবিদ্ধ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা