সৈয়দপুরে বিয়ের ১৬ দিনের মাথায় লাশ হলেন নববধূ

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৩২| আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৫২
অ- অ+

নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিয়ের মাত্র ১৬ দিনের মাথায় মুক্তা (২২) নামে এক নববধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় নববধূর স্বামী রানাকে আটক করা হয়েছে। রবিবার সকালে সৈয়দপুর শহরের কাজীপাড়া মরহুম কমিশনার আব্দুল লতিফ রোড এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মুক্তা সৈয়দপুর শহরের কুন্দল পশ্চিম পাড়ার জাহেদা বেগমের মেয়ে। আর রানা শহরের কাজীপাড়ার বাবলুর ছেলে।

জানা যায়, সৈয়দপুর প্লাজা সুপার মার্কেটের গ্রিন বিউটি পার্লারের মেকআপকর্মী মুক্তা পরিবারের মতে রানাকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামী রানা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন মুক্তার ওপর। মুক্তা জানতে পারে রানা ও তার ভাই রনি মাদক বিক্রেতা ও মাদকসেবী। এর প্রতিবাদ করায় মূলত বিরোধ সৃষ্টি হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। অতিরিক্ত নির্যাতনের কারণে মুক্তা ৫ দিন পরই মায়ের বাড়িতে চলে যান এবং এতদিন সেখানেই ছিলেন।

পরিবারের লোকজন জানায়, গত শুক্রবার উভয় পরিবারের সমঝোতায় মুক্তা স্বামীর বাড়িতে আসেন। মুক্তা রাজি না থাকলেও মা ও নানা জামাল উদ্দিনের অনুরোধে রাজি হয় যেতে। ওইদিন ভালোভাবে কাটলেও শনিবার দিবাগত রাতে আবারও নির্যাতন শুরু করেন রানা। এতে মুক্তার শাশুড়ি রুমি বেগম (ঝিলপি) বউমাকে নিজের ঘরে এনে রাখেন। কিন্তু রাত আনুমানিক ৩টার দিকে রানা অনেকটা জোর করেই মুক্তাকে নিজ ঘরে নিয়ে যান।

ঝিলপি বলেন, ‘ভোর রাতের দিকে ছেলে রানা আমার ঘরের দরজায় নক করে বলে আমি তোর বউকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছি। এখন তোদের সবাইকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে। এতে আমরা তাৎক্ষণিক ছেলের ঘরে গিয়ে দেখি মুক্তার নিথর দেহ বিছানায় পড়ে আছে। এমতাবস্থায় ছেলেকে কৌশলে তার ঘরে ঠেলে দিয়ে বাহির থেকে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দিই। পরে পুলিশকে খবর দিলে সকাল ৬টায় পুলিশ এসে সুরতহাল তদন্ত করে লাশ উদ্ধার করে এবং রানাকে আটক করে নিয়ে যায়।’

মৃত মুক্তার মা জাহেদা বেগম বলেন, ‘ওরা আমার মেয়েকে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলেছে। স্বামী হারিয়ে অনেক কষ্টে মেয়েকে মানুষ করেছি। অত্যন্ত আশা নিয়ে তাকে বিয়ে দিলাম। অথচ মাত্র ১৬ দিনেই তার লাশ মিলল স্বামীর বাড়ি থেকে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং স্বামী রানাকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। মৃত মুক্তার বড় ভাই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মুক্তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। সঠিক কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে এবং রানাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে নেওয়া হবে।

(ঢাকা টাইমস/০৫জানুয়ারি/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এপ্রিলের ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার
নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই সব দেনা পরিশোধ করল পেট্রোবাংলা
ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়, বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা