ইরানে ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ২২৪, আহত সহস্রাধিক

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইরানে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১ হাজার ২৭০ জনের বেশি। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এপি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। গত ১৩ জুন থেকে ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে হামলা চালিয়ে আসছে। বিশেষ করে নাতাঞ্জ ও ইসফাহান এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এই হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) গোয়েন্দা ইউনিটের প্রধান মোহাম্মদ কাজেমি। একই হামলায় তার ঘনিষ্ঠ সহকারী হাসান মোহাক্কেক ও জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহসেন বাকেরিও প্রাণ হারিয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম তাসনিম ও টেলিভিশন চ্যানেল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এছাড়া তেহরানে অবস্থিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ভবনকেও হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদেহ এক্স প্ল্যাটফর্মে (সাবেক টুইটার) দেওয়া বার্তায় জানান, “তেহরানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গ্রন্থাগারে পরিকল্পিত ও বেপরোয়া হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।”
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, তারা ইরানের ভেতরে বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ধারাবাহিক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। হামলার ধরন এবং ব্যাপকতা দেখে এটি অনুমান করা যাচ্ছে যে, পরিস্থিতি ক্রমেই বড় ধরনের যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে।
ইরানের বিভিন্ন শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় মসজিদ, স্কুল, এমনকি মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ খাদ্য ও ওষুধের সংকটের মুখে পড়ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সংঘাত শুধু ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ শান্তি আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দেয়নি।
(ঢাকাটাইমস/১৬ জুন/আরজেড)

মন্তব্য করুন