দুই কোটির বন্ধ স্লুইস গেট কৃষকের গলার কাঁটা, মাদকসেবীদের আখড়া

এম এ জুনাইদ, ঠাকুরগাঁও
  প্রকাশিত : ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:১৬
অ- অ+

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় নহনা খালে স্থানীয় কৃষকদের সুবিধার্থে নির্মাণ করা হয় স্লুইস গেটটি। দুই কোটি ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্মিত স্লুইচ গেটটি কয়েক বছর ধরে কৃষকদের কোনো কাজেই আসছে না। বরং তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অচল পড়ে থাকায় এটি পরিণত হয়েছে মাদকসেবীদের আখড়ায়।

এলজিইডির সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের জাউনিয়া গ্রামে স্লুইস গেটটি নির্মাণ করা হয় খরা মৌসুমে আবাদি জমিতে কৃষককে সেচসুবিধা দিতে। শুরুতে গেটটি খোলা ও বন্ধ হলেও প্রায় পাঁচ বছর ধরে কৃষকের কাজে আসছে না এটি। কোনো ধরনের সেচসুবিধা পাচ্ছেন না কৃষকেরা। শুষ্ক জমিতে নিথর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে গেটটি আর অন্য দিক দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদীর পানির স্রোত।

দীর্ঘদিন থেকে ব্যবহার না হওয়ায় গেটটি থেকে চুরি হয়ে গেছে অধিকাংশ লোহা। ফসলি মাঠের মাঝে হওয়ায় গেটের সামনের জমিতে আসর বসে মাদকসেবীদের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে সেচসুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকেরা। এতে করে আবাদে যোগ হচ্ছে বাড়তি খরচ, নষ্ট হচ্ছে সরকারি সম্পদ। গেটটি সংস্কার ও মেরামতের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীদের।

কৃষক সবুর বলেন, ‘কৃষকদের উপকারের জন্য স্লুইস গেট নির্মাণ করা হলেও দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ অকেজো পড়ে আছে। সরকার খরা মৌসুমে সেচের জন্য কোটি টাকা খরচ করে এটি নির্মাণ করেছিল। অথচ এটি এখন আমাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি সংস্কার করা হলে আমাদের উপকার হব।’

স্থানীয় শিক্ষার্থীরা জানান, বেলা নামলে এখানে বখাটেদের আড্ডার আসর বসে। মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে এটি। গেটটির সরঞ্জাম চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে তারা।

স্থানীয় পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘সমিতির ব্যবস্থাপনায় একটি গেট ও একটি ওয়ার নির্মাণ করা হয়। শুরুতে কৃষকদের এতে উপকার হলেও এখন কোনো কাজে আসছে না। প্রতিনিয়তই আমরা এলজিইডিকে স্লুইস গেটটি সংস্কারের জন্য বলে আসছি, কিন্তু তারা কোনো গুরুত্ব দেয় না।’

স্লুইস গেটটি এখন কৃষকদের সেচসুবিধায় কাজে আসছে না, এ তথ্য নিশ্চিত করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার প্রকৌশলী মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘সংস্কারের জন্য গত বছরে আমরা এটি সিস্টেমে পাঠিয়েছি। এ অর্থবছরেও প্রাক্কলন পাঠানো হয়েছে।‘

ঠাকুরগাঁও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বিশ্বাস বলেন, ‘কৃষকদের সেচসুবিধা নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি সংস্কারের কাজ শুরু করব আমরা।’

(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ওষুধ ছাড়াই ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন হজমের সমস্যা
সব দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে বাংলাদেশ: প্রেস সচিব
মে দিবস ২০২৫-এ বয়ে আনুক কর্মজীবীদের আশার আলো
৩২ বছর পর ৩১ জুলাই হতে যাচ্ছে জাকসু নির্বাচন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা