দুপুরে ৭ কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসছেন ঢাবি উপাচার্য

চলমান সংকট নিরসনে সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ঢাবির জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম খান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষরা এক জরুরি সভা ২৭ জানুয়ারি (সোমবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সভায় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
এর আগে রবিবার সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের অশোভন আচরণের অভিযোগ এনে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় ও টেকনিক্যাল মোড়ে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন।
তারই জেরে এদিন মধ্যরাতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে ছয়জন আহত হন। এর প্রতিবাদে ঢাকা অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি।
যে কারণে ঢাবি ও সাত কলেজ সংঘর্ষ
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, রবিবার বিকালে ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবির অগ্রগতি জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের সঙ্গে কথা বলতে যান সাত কলেজের এক দল শিক্ষার্থী। এ সময় কয়েকজন হুড়মুড় করে তার কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। এতে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন অধ্যাপক মামুন।
এ সময়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া যায়। এতে দেখা যায়, মামুন আহমেদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলছেন, ‘আমি তোমাদের বলেছি দুইজন আসতে; কেন বলেছি? আমি তোমাদের কথা শুনব। বাট তুমি দলবল নিয়ে আমার রুমে ঢুকেছো।’
অন্যপাশে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দুইজন তো সব কথা বলতে পারবে না।’ তখন অধ্যাপক মামুন বলেন, ‘কেন বলতে পারবে না? তোমার বক্তব্য প্রতিনিধি হিসেবে বলবা।’ শিক্ষার্থী বলেন, ‘ওরা মানবে না স্যার।’ তখন অধ্যাপক মামুন বলেন, ‘মানবে না, দ্যাটস নট মাই বিজনেস।’
তখন এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আপনি এত অ্যাগ্রেসিভ হয়ে যাচ্ছেন কেন?’ তখন অধ্যাপক মামুন বলেন, ‘অ্যাগ্রেসিভ হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’ তখন ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আপনি যেভাবে অ্যাগ্রেসিভ হয়ে গেলেন, এটা কিন্তু গ্রহণযোগ্য আচরণ নয়।’ তখন অধ্যাপক মামুন বলেন, ‘অবশ্যই এটা গ্রহণযোগ্য আচরণ। প্লিজ সরি, তোমার কথা শুনব না। তোমার কথা বারবার শোনার জন্য এখানে বসিনি।’
অধ্যাপক মামুনের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদে তারা সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে জড়ো হন। পরে অধ্যাপক মামুনকে প্রকাশ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে তারা সায়েন্স ল্যাব, টেকনিক্যাল মোড় ও তাঁতীবাজার সড়ক অবরোধ করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই শুরু হয় সংঘর্ষ।
(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/এজে)

মন্তব্য করুন