রংপুরে দুই দুর্ঘটনায় সড়কে ঝরল ৪ প্রাণ

রংপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৫ জন। শুক্রবার সকালে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রংপুর মহানগরীর সাতমাথা চায়না সিনেমা হল-সংলগ্ন কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়কে যাত্রীবাহী একটি বাস ও একটি মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মাহিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কুদ্দুস জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রামগামী যাত্রীবাহী পাভেল এক্সপ্রেস এবং কাউনিয়া থেকে ছেড়ে আসা মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মাহিন্দ্রার যাত্রী নিহত হন। এঘটনায় আরও দুজন আহত হন। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহতদের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তাদের মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রংপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মাসুদ আলম বলেন, মূলত ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মাহিন্দ্রাকে চাপা দিয়ে বাসটি চলে গেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। তবে এখনো তাদের নামপরিচয় পাওয়া যায়নি। এদিকে সকাল পৌনে ৮টার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পীরগঞ্জ বড়দরগাহ হাইওয়ে ফ্লাইওভারের দক্ষিণে একটি যাত্রীবাহী বাস আরেকটি বাসকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২০ জন যাত্রী। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বড়দরগাহ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রামগামী সাদিকা তালুকদার পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নামাচ্ছিল। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রংপুর এক্সপ্রেসের একটি বাস সাদিকা তালুকদার পরিবহনের বাসের পেছনে জোরে ধাক্কা দেয়। এতে রংপুর এক্সপ্রেসের সামনে এবং সাদিকা তালুকদার পরিবহনের পেছনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এ ঘটনায় ২০ জন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় পাঁচ-ছয়জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান।
নিহতের নাম আসলাম খান (৪৫)। তিনি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার শৈলতলা গ্রামের সামদানী খানের ছেলে বলে জানিয়েছে বড়দরগাহ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর স্থানীয় জনসাধারণ, পুলিশ সদস্য ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার কাজ চালায়। বাস দুটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
(ঢাকা টাইমস/৩১জানুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন