জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৬-৭ শতাংশে নেমে আসবে, আশা অর্থ উপদেষ্টার

মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আনতে আরও দুই থেকে তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আগামী জুনের মধ্যে সাধারণ পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মূল্যস্ফীতির হার ৬ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে নেমে আসবে বলে আশা করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বাড়তি মূল্যস্ফীতিতে মানুষ সমস্যায় রয়েছে এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে তা কমাতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর প্রভাবে মূল্যস্ফীতি কমতে আরও দুই থেকে তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে। জুনের মধ্যে যদি আমরা মূল্যস্ফীতি ৬-৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারি, তাহলে আমরা এটিকে সন্তোষজনক বলে মনে করব।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আগামী বাজেটে ভ্যাটের বিষয়টি সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তখন পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। এবার ভ্যাট বৃদ্ধির মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ভ্যাট ছাড় থেকে বেরিয়ে আসা। অনেক খাতেই অনেক দিন ধরে ভ্যাট ছাড় চলছে; এসব তিনি আর উৎসাহিত করতে চান না। এই প্রক্রিয়ায় কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে এবং কিছু মানুষের কষ্ট হয়েছে। আপাতত লক্ষ্য হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণ করা যায়, ততটা নিয়ন্ত্রণ করা।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও রোজার এই সময় একটা ক্রাইসিস থাকে। আর এ সময়ের জন্য বড় ধরনের একটা উদ্যোগ নেই। সেটার ফলটা এপ্রিল মের দিকে গিয়ে পড়ে। এজন্য এপ্রিল মে পর্যন্ত কোনো নিত্য পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি হতে দেব না। সেজন্য আজকে চাল, ডাল, সারসহ অত্যাবশ্যকীয় কতোগুলো পণ্যের আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংকও মুদ্রানীতি দেবে।
তিনি বলেন, সরকার আসন্ন রোজায় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেবে। মূল্যস্ফীতি রাতারাতি কমানো যাবে না। এর জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে জ্বালানি, সার, চাল এবং ভোজ্যতেল আমদানি সহজতর করার জন্য প্রয়োজনীয় মার্কিন ডলার সরবরাহ করা হবে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দাম স্থিতিশীল করার জন্য ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলেও তিনি জানান।
গত ডিসেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
(ঢাকাটাইমস/০৪জানুয়ারি/এমআর)

মন্তব্য করুন