মাইকে ঘোষণা দিয়ে এনটিআরসিএতে ঢোকার চেষ্টা ফেল করা প্রার্থীদের, ভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ-জলকামান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৬ জুন ২০২৫, ১৩:২৯| আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, ১৪:৩৬
অ- অ+

অবস্থান কর্মসূচি থেকে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দিয়ে রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা-২০২৩ এর মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করা চাকরিপ্রত্যাশীরা। ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে মৌখিক পরীক্ষায় (ভাইভা) অংশ নেওয়া সব প্রার্থীকে সনদ দেওয়ার দাবিতে গতকালও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন তারা।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা ইস্কাটন গার্ডেনের রেড রিসেন্ট বোরাক টাওয়ারে অবস্থিত এনটিআরসিএ ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। ব্যর্থ হয়ে তারা ভবনের সামনে অবস্থান নেন।

বর্তমানে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ পুলিশের জলকামান আনা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম, এডিসি জিসানুল হকসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

এদিন দুপুর ১টার পর পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। পুলিশ বুঝানোর পর এনটিআরসিএ ভবনের সামনে থেকে আন্দোলনকারীরা সরে গেছে।

এদিকে একই স্থানে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা-২০২৩ এর মৌখিক পরীক্ষার ফেল করা চাকরিপ্রত্যাশীরা ছাড়াও বয়স ও সনদের মেয়াদ শিথিল করে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারী প্রার্থীরাও ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা-২০২৩ এর মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে কফিন পরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।

তারা বলেন, ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর থেকে এনটিআরসিএ’র নানা রকম দুর্নীতি, বৈষম্য, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ, আইনের অপব্যবহার, মনগড়া নিয়মনীতি, ঘুষ বাণিজ্য ইত্যাদির জন্য আমরা ১-১২তম সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ আন্দোলন, সমাবেশ করেছি, বিভিন্ন স্থানে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, অধিকার বঞ্চিত হয়ে বেকারত্বের অভিশাপ মাথায় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। বৈধ সনদ অর্জন করার পরেও বিগত সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি ও ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেলের যোগসাজশে চরম বৈষম্য এবং একতরফা, অমানবিক এবং প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অতিকষ্টে আমরা দিনাতিপাত করছি।

তারা বলেন, এনটিআরসিএ ৩৫+ বয়সের দোহাই দিয়ে আমাদের অধিকার হরণ করেছে। যেটা চাকরি বিধি অনুযায়ী সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও সঠিক নয়। আমরা যখন আবেদন করে পাস করেছি তখন সবার বয়স ৩০ এর মধ্যে ছিল। এনটিআরসিএ’র ১-১২তমদের রোল ও রেজি. নম্বর ব্যবহার করে ৬০ হাজার জাল সনদ দিয়ে অযোগ্যদের চাকরি দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং তালাশ ১৫২ নং পর্ব প্রমাণ করেছে।

তারা আরও বলেন, ২ লাখে সনদ ও ৬/৮ লাখে চাকরি প্রদান করে ৪৮ হাজার কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্য করেছে বিগত সরকার। যেটা দেশের ভবিষ্যৎ শিক্ষাব্যবস্থাকে চরম ক্ষতিগ্রস্ত করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রতি শূন্য পদের বিপরীতে যোগ্য শিক্ষক বাছাই করার কথা থাকলেও এনটিআরসিএ সেটা করেননি। তারা ইচ্ছেমতো শিক্ষক পাস করিয়ে নিয়োগ না দিয়ে শূন্য পদ রেখে দুর্নীতি করেছে।

(ঢাকাটাইমস/১৬জুন/এলএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া ছিল মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে বেইমানি:  কাদের গনি চৌধুরী
কারাবন্দিদের সঙ্গে যোগাযোগে কল করবেন যে নম্বরে
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস পরিদর্শনে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান
ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা