বাবার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু

নীলফামারীর সৈয়দপুরে খড়খড়িয়া নদীতে বাবার সাথে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র লিখন চন্দ্র দাস (১২)। পানিতে ডুবে যাওয়ার পাঁচ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের দল ও স্থানীয় লোকজন তার লাশ উদ্ধার করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকাল পাঁচটায় উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের বসুনিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। লিখন চন্দ্র দাস সৈয়দপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাহাট জেলেপাড়া এলাকার কৃষ্ণ চন্দ্র দাসের ছেলে। সে গোলাহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে খড়খড়িয়া নদীতে মাছ ধরতে যায় বাবা ও ছেলে। এ সময় হঠাৎ ছেলে লিখন চন্দ্র দাস পানিতে তলিয়ে যায়। বাবা কৃষ্ণ চন্দ্র দাস অনেক চেষ্টা করেও ছেলের হদিস না পেয়ে আশপাশের লোকজনকে ও বাড়িতে বিষয়টি জানায়। তারপর অনেকে নদীতে নেমে খোঁজ করলেও লিখনকে কোথাও পাওয়া যায়নি।

পরে খবর পেয়ে সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস অফিসের একদল ডুবুরি এসে ঘণ্টা খানেক চেষ্টার পর বিকাল পাঁচটার দিকে লিখনের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ সময় নদীর উভয় পাড়ে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমে যায়।

নদীপাড় থেকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া পর্যন্ত লাশবাহী ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির সাথেও শত শত মানুষ ছুটে চলে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে লিখনকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। এরপর সেখানে পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল তদন্ত করেছে।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দিন বলেন, লিখনেরা মৃত্যুর ঘটনায় একটা ইউডি মামলা হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ সৎকারের অনুমতি দিয়েছে বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/মোআ)