চুরির ভাগের টাকার জন্য হোটেল কর্মচারী খুন, আদালতে দুই আসামির জবানবন্দি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৬ মে ২০২৫, ১২:২৭| আপডেট : ২৬ মে ২০২৫, ১২:৪০
অ- অ+

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এক হোটেল কর্মচারী খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

রবিবার বিকালে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১)-এর বিচারক মো. আলমগীর হোসেন আসামিদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।এর আগে শনিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন— রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়ার আলম সেখের ছেলে মো. ফিরোজ (২১) ও সলঙ্গা থানার তারুটিয়া উত্তরপাড়ার শামসুল হকের মেয়ে জুলেখা খাতুন (২১)।

নিহত হোটেল কর্মচারী আরাফাত খান (৩৫) ফরিদপুরের কোতোয়ালি উপজেলার আলীপুর পাকিস্তানপাড়ার মোহাম্মদ হানিফের ছেলে। সে সলঙ্গা থানার রাধানগর গ্রামের শাপলা খাতুন নামে এক নারীকে বিয়ে করে সেখানেই ভাড়া বাসায় থাকতো এবং হোটেলে কর্মচারী হিসেবে কাজ করত।

সিরাজগঞ্জ ডিবির ওসি একরামুল হোসাইন বলেন, গত ২৩ মে সকালে হাটিকুমরুল গোল চত্বরের পাশে সওজ অফিসের পরিত্যক্ত ভবনের পেছন থেকে হোটেল কর্মচারী আরাফাত খানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শাপলা খাতুন অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর ডিবি পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করে। তদন্ত চলাকালে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শনিবার রাতে প্রথমে আসামি ফিরোজকে হাটিকুমরুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্য অনুসারে জুলেখা খাতুনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার বিকালে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে হাজির করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এরপর সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, জবানবন্দিতে আসামি ফিরোজ জানিয়েছেন, সে আগের একটি চুরির ভাগের পাঁচ হাজার টাকা আরাফাত খানের কাছে পাওনা ছিল। এ অবস্থায় ২২ মে রাতে আরাফাত হাটিকুমরুল গোল চত্বরের পাশে সওজ অফিসের পরিত্যক্ত ভবনের পেছন থেকে পাইপ চুরি করতে যায়। আসামি ফিরোজ আরও দুই সহযোগীসহ সেখানে উপস্থিত হয়।

যৌনকর্মী জুলেখা খাতুনকে দুই হাজার টাকার চুক্তিতে অনৈতিক কাজের জন্য সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। এক পর্যায়ে সেখানেই আরাফাতের কাছে পাওনা টাকার জন্য তাগাদা দেয় ফিরোজ। এতে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে আরাফাত প্রথমে ফিরোজকে থাপ্পড় দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফিরোজ ও যৌনকর্মী জুলেখা খাতুন মিলে ইট দিয়ে আরাফাতের মাথা ও মুখ থেঁতলে হত্যা করে। ঘটনার সময় অন্য দুজন পাশেই পাহারায় ছিল।

(ঢাকাটাইমস/২৬মে/এমআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মাদকের টাকা নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
ভোমরা বন্দরে আয় বেড়েছে ১০৩ কোটি টাকা
ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইরান
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাউশির জরুরি স্বাস্থ্য নির্দেশনা 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা