বালিয়াকান্দিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণ ও চুরি, বাগেরহাট থেকে আসামি গ্রেপ্তার

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে বিয়ের প্রলোভনে এক কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে রাত্রিযাপন, ধর্ষণ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরির ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামির নাম, সুদীপ্ত হালদার ওরফে সুমন। রবিবার সকালে বাগেরহাটের রামপালে সুমনের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার হেফাজত থেকে চুরিকৃত স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকালে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
জানা গেছে, নিজেকে সরকারি চাকরিজীবী পরিচয় দিয়ে ২ মাস আগে ভুক্তভোগীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন সুদীপ্ত হালদার ওরফে সুমন। সম্পর্কের এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ মে বাগেরহাট থেকে বালিয়াকান্দি আসেন এবং ওই কিশোরীর বাসায় প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে ওই রাতে তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের পর সে অসুস্থ হয়ে পড়লে বাসায় থাকা আড়াই লাখ টাকা, চার ভরি স্বর্ণলঙ্কার ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যান সুমন।
এক পযায়ে ভুক্তভোগী সুস্থ হলে দেখতে পায়, তার রুমে রক্ষিত সাব-বাক্সটি খোলা এবং টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে সুমন পালিয়েছে। এসময় সে দিশেহারা হয়ে তার বাবা, মাকে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। এ ঘটনায় গত শনিবার ভুক্তভোগীর পরিবার বালিয়াকিান্দি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পরে রাজবাড়ী জেলার পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব এবং পাংশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দেবব্রত সরকারের নেতৃত্ব বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনর্চাজ জামাল উদ্দিনের সহযোগিতায় আসামিকে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়। অভিযানে বালিয়াকান্দি থানা এসআই(নিঃ) হিমাদ্রি হালদার, এসআই (নিঃ) আশিকুর রহমান, এএসআই (নিঃ) রুবেল সহ সঙ্গীয় ফোর্স বাগেরহাটের রামপাল থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় তার হেফাজত থেকে চুরিকৃত দুইটি স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া মামলাটির তদন্ত অব্যহত আছে।
(ঢাকা টাইমস/২৬মে/এলএম/এসএ)

মন্তব্য করুন