ঢামেকে চিকিৎসকের গালে মানসিক রোগীর ‘চড়’, অতঃপর...

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে চড় মারার ঘটনায় ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরিফ হোসেন নামের যুবক মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলে দাবি করেছেন তার পরিবার।
শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে ঢামেকের জরুরি বিভাগের ৪ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তকে আটক করে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে।
জানা গেছে, নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মনিমুল আহমেদের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ করেই তার গালে চড় মারেন আরিফ। এরপর উপস্থিত আনসার সদস্যরা তাকে আটক করে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যান। প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয় নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসাসেবা।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ মো. মাসুদ আলম বলেন, ‘ঘটনার পর পরই হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা অভিযুক্ত যুবককে আটক করেন। পরে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।’
এদিকে অভিযুক্ত আরিফের পরিবার জানিয়েছে, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তার বাবা মো. তাজউদ্দিন বলেন, ‘আমরা নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার খিলমার্কেট এলাকায় থাকি। আরিফ আগে একটি ছাপাখানায় কাজ করত। কয়েক মাস আগে মানসিক সমস্যা শুরু হয়। সেখানকার হাসপাতালে চিকিৎসাও চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন আগে স্থানীয় কিছু লোক তাকে মারধর করে। এরপর থেকেই তার অবস্থার অবনতি হয়। আজ ডাক্তারদের পরামর্শে সিটি-স্ক্যান করাতে তাকে ঢামেকে নিয়ে আসি। জরুরি বিভাগের রুমে ঢোকার পর হঠাৎ করেই সে চিকিৎসককে চড় মেরে বসে।’
আরিফের মা শিল্পী বেগম জানান, ‘আমার ছেলে মানসিকভাবে অস্বাভাবিক। সে যা করেছে ভুল করেছে। তবে ঘটনার পর হাসপাতালের ভেতরেই আমার ছেলেকে অনেক মারধর করা হয়েছে, মাটিতে ফেলে লাথিও দেওয়া হয়েছে। আমরা অনেকবার ক্ষমা চেয়েছি।’
ঘটনাটি তদন্তসাপেক্ষে পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/এলএম/এসএ)

মন্তব্য করুন