টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় নারীসহ দুজনের যাবজ্জীবন
টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় এক নারীসহ দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাস সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আফরোজা বেগম এই রায় দেন।
দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন- টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাসাইল পূর্বপাড়া গ্রামের শাহাদত বেপারীর স্ত্রী মনোয়ারা আক্তার (৩৬) এবং একই এলাকার মজিবর বেপারীর ছেলে উজ্জল ইসলাম (৩৩)।
টাঙ্গাইলের সদ্য বিদায়ী অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী মনিরুল ইসলাম খান মামলাটি রাষ্ট্র পক্ষে পরিচালনা করেন। তিনি জানান, বাসাইল পূর্বপাড়া গ্রামের সুনীল কুমার দাসের স্ত্রী ঝর্ণা রানী দাস (৪৮) দণ্ডিত মনোয়ারা আক্তারের সাথে প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবসা করতেন। সেই সূত্রে ঝর্ণা মনোয়ারার কাছে দুই হাজার ৬০০ টাকা পেতেন। বিগত ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পাওনা টাকার জন্য ঝর্ণা মনোয়ারার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বের হন। কিন্তু তিনি রাতেও বাড়ি ফিরে না আসায় তার স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এক পর্যায়ে ওই রাতে তারা বাসাইল থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশ মনোয়ারার বাড়িতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় মনোয়ারা পুলিশকে জানায় সকালে পাওনা টাকা চাইতে আসার পর ঝর্ণা রানীর সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তার প্রতিবেশী ভাতিজা উজ্জল ইসলামের সহায়তায় ঝর্ণাকে ঘরে নিয়ে গলায় ফিতা পেঁচিয়ে ও বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ঝর্ণার গলায় থাকা স্বর্ণেও চেইন, কানের দুল খুলে নিয়ে যায়। মনোয়ারার বসতঘরে একটি কক্ষের মেঝেতে ঝর্ণার লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখে। পরে পুলিশ মনোয়ারার ঘর থেকে মাটি খুড়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার পরদিন ঝর্ণার স্বামী সুনীল কুমার দাস বাদী হয়ে দণ্ডিত দুজনের বিরুদ্ধে বাসাইল থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। মামলায় ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
(ঢাকা টাইমস/১৯নভেম্বর/এসএ)
মন্তব্য করুন