ইসকন প্রসঙ্গে হাইকোর্ট: ‘এরা কারা’?, একদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিন
জাতীয় পাতাকা অবমাননার ঘটনায় করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে জামিন নামঞ্জুর করা নিয়ে সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ইসকনকে নিষিদ্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন একজন আইনজীবী। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষের মতামত জানতে জরুরি ভিত্তিতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে ডেকে পাঠান আদালত। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, “এরা কারা? এদের পরিচয় কী?”
বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের হাইকোর্ট বেঞ্চে পত্রিকাসহ আবেদন করেন আইনজীবী। আবেদনে গতকালের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়।
এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত না নিতে আদালতকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, “সরকার এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। সরকারের কাছে এটি এখন এক নম্বর এজেন্ডা।
এ সময় হাইকোর্ট বলেন, “এরা কারা? এদের পরিচয় কি?”
আদালত আরও বলেন, চট্টগ্রাম-রংপুরে এসব কী শুরু হয়েছে? এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে।”
পরে হাইকোর্ট বিকেলের মধ্যে ইসকনের বিষয়ে জানাতে বললে অ্যাটর্নি জেনারেল এক দিন সময় চান। আদালত বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেন।
কোনোভাবেই যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতেও বলেন হাইকোর্ট।
জাতীয় পতাকার অবমাননার ঘটনায় করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত ২৫ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। ওইদিন রাতেই কড়া নিরপত্তায় তাকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়। পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন-৬ এর কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে তোলা হলে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন।
(ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/এফএ)
মন্তব্য করুন