গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
জেলায় খাদিজা আক্তার বৃষ্টি নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামী রফিকুল ইসলাম মাদবরকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার দুপুর ১টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ধানুকা গ্রামে স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খাদিজা আক্তার বৃষ্টি শরীয়তপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ধানুকা গ্রামের হাশেম বেপারীর মেয়ে এবং আংগারিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
আটক রফিকুল ইসলাম মাদবর শরীয়তপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ধানুকা গ্রামের রাজ্জাম মাদবরের ছেলে এবং শরীয়তপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আট মাস আগে শরীয়তপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ধানুকা গ্রামের রাজ্জাক মাদবরের ছেলে রফিকুল ইসলাম মাদবরের সঙ্গে একই গ্রামের হাশেম বেপারীর মেয়ে খাদিজা আক্তার বৃষ্টি প্রেমের সম্পর্ক করে পালিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে বৃষ্টির স্বামীর পরিবার তাকে মেনে নেয়নি। গত দুই সপ্তাহ আগে দুই লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে বৃষ্টিকে মেনে নেয় রফিকুলের পরিবার। যৌতুকের টাকা নিয়ে প্রতিদিনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হতো। রবিবার বৃষ্টি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বৃষ্টির স্বামী, শাশুড়ি ও শ্বশুর মিলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ বৃষ্টির বাবা হাশেম বেপারী।
বৃষ্টির বাবা হাশেম বেপারী বলেন, রফিকুল ও তার পরিবার আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি ওদের বিচার চাই। থানায় ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি।
তবে পুলিশের হাতে আটক বৃষ্টির স্বামী রফিকুল ইসলাম মাদবর বলেন, বৃষ্টি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে গৃহবধূ বৃষ্টির লাশ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামী রফিকুলকে আটক করা হয়েছে। কেউ অভিযোগ করলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্তা নেয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/৫মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন