পেট্রলবোমায় আটজনকে হত্যা: খালেদার বিরুদ্ধে চার্জশিট
সরকার পতনের আন্দোলনে দেশজুড়ে অবরোধের মধ্যে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রল বোমা হামলায় আট জনকে হত্যা মামলায় বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। এই মামলায় তারা আসমি করেছে মোট ৭৮ জনকে। তারা সবাই বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মী।
সোমবার দুপুরে কুমিল্লা আদালতের চৌদ্দগ্রাম কোর্টের জিআরও কার্যালয়ে অভিযোগপত্রটি (চার্জশিট)জমা দেন চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক মো. ইব্রাহিম। এই প্রতিবেদনের বিষয়ে এখন আদালত সিদ্ধান্ত জানাবে।
জানতে চাইলে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে বলেন, জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এই হামলায় সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণ পেয়েছেন তিনি। আর খালেদা জিয়াকে করা হয়েছে হুকুমের আসামি। তিনিই সে সময় দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি ডেকেছিলেন এবং তার ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে গিয়েই এই হামলা হয়।
ওই হামলায় সরাসরি কারা অংশ নিয়েছিল, সে বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা কিছু বলেননি। তিনি বলেন, প্রতিবেদনে তিনি সবার নাম উল্লেখ করেছেন, কিন্তু এটা তিনি বলতে পারেন না। এটা আদালতের বিষয়।
২০১৫ সালে বর্তমান সরকারের এক বছর পূর্তির দিন থেকে সরকার পতনের আন্দোলনে ডাকা হরতাল-অবরোধের মধ্যে ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় এই পেট্রল বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। রাতে নৈশকোচে ওই পেট্রল বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় সাত জনকে। আহত হন আরও ৩৫ জন, যাদের মধ্যে ১০ জন পুড়ে দগ্ধ হন। পরে হাসপাতালে মারা যান আরও একজন।
এই ঘটনায় চৌদ্দগ্রামের জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি করে মোট ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ। এতে ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়।
মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতা রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার, রিজভী আহমেদ, সালাউদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদকে করা হয় হুকুমের আসামি। পরে তদন্তকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরীসহ ২২ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তদন্তকালে আসামিদের দুইজন মারা যান। অপর চারজনকে এ ঘটনা সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকায় অভিযোগপত্রে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
দুই বছর আগে সরকার পতনের আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসে বোমা হামলায় হত্যার ঘটনায় করা মামলাতেও আসামি করা হয়েছে খালেদা জিয়াকে। নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতার বিরুদ্ধেই। একাধিক মামলার প্রতিবেদন জমা পড়েছে আদালতে এবং কোনো কোনোটির বিচারও শুরু হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৬মার্চ/প্রতিনিধি/জেবি)
মন্তব্য করুন