কুমিল্লায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা, জনতার হাতে আটক তিন পুলিশ
কুমিল্লায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয়রা। তারা জানায়, আটক তিন কনস্টেবল মরদেহ মাটি চাপা দেয়ার চেষ্টা করছিল। ঘটনাটি দেখে ফেলে ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। তবে পালিয়ে যায় তাদের এক সহযোগী।
শুক্রবার সকালে কুমিল্লা সদর উপজেলার বালুতুপা চাপাপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আটক পুলিশ সদস্যদেরকে কোতয়ালি থানায় আটক রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির কর্মকর্তারা।
স্থানীয়রা জানায়, একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে চার পুলিশ সদস্য এক মোটরসাইকেল চালককে সদর দক্ষিণ উপজেলার ভারতের সীমান্তবর্তী লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে ধাওয়া করে নিয়ে আসে। পরে জেলা সদরের বালুতুপা এলাকা সড়কে এসে মোটরসাইকেল চালক যুবক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে যান। এরপর যুবকটি দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশের চার সদস্য তাকে ধাওয়া করে বালুতুপার চাপাপুর একটি ফসলি জমিতে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।
হত্যার পর মরদেহটি মাটিচাপা দিতে গেলে স্থানীয় লোকজন পুলিশের চার সদস্যকে ঘিরে ফেলে। এ সময় একজন পুলিশ সদস্য পালিয়ে যান। পরে এলাকাবাসী তিনজনকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়।
কোতয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাটি নিশ্চিত করলেও আটক কনস্টেবলদের পরিচয় গোপন রেখেছে।
স্থানীয় উত্তেজিত লোকজন চার পুলিশ সদস্যকে বহনকারী গাড়িটি ভাঙচুর করে এবং পরে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন স্থানীয়দের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কোতয়ালি থানার পরিদর্শক মো. সালাউদ্দিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এলাকাবাসী ধরিয়ে দেয়ার পর তিন কনস্টেবলকে আটক রাখা হয়েছে। তারা এ হত্যায় সরাসরি জড়িত। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। ’
নিহত যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশের সদস্যরা সব সময় বেপরোয়া মনোভাব দেখায়। তারা নিজেরাই নানা প্রকার অপরাধের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। স্থানীয় সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে জড়িয়ে পড়ে অনেক সময় সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে। নিরপরাধ মানুষকে ধরে মাদক গছিয়ে দিয়ে আটক করার ভয় দেখিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে পুলিশ।
(ঢাকাটাইমস/১০মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন