না.গঞ্জ সাত খুন: আরো এক ফাঁসির আসামির আত্মসমর্পণ
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জামাল উদ্দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে নুর হোসেনের এই অন্যতম সহযোগী আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, গত ১৬ জানুয়ারি সাত খুন মামলার রায় ঘোষণার পর আসামি জামাল উদ্দিন আত্মগোপন করেন। আজ তিনি আত্মসমর্পণ করেন আদালতে।
কোর্ট ইন্সপেক্টর সোহেল আলম জানান, রায় ঘোষণার পর থেকে আজ পর্যন্ত পলাতক নয় আসামির মধ্যে তিনজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে এবং দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে চার আসামি পলাতক। পলাতকদের মধ্য তিনজন র্যাবের সদস্য।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সাত খুন মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নুর হোসেনের অন্যতম সহযোগী ওয়াহিদুজ্জামান ওরফে সেলিম, আর ১২ ফেব্রুয়ারি র্যাব-১১-এর চাকরিচ্যুত সদস্য আবদুল আলিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি র্যাবের আরো এক পলাতক আসামি সার্জেন্ট এনামুল কবিরকে পুলিশ মাগুরা জেলার সালিশা উপজেলার কাতলি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে।
এই মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নং ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
অপহরণের ঘটনায় ২৮ এপ্রিল ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা করেন নজরুল ইসলামের স্ত্রী। ওই মামলায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নূর হোসেনকে প্রধান করে ছয়জনকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ের জামাই বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় আরও একটি মামলা করেন। পরে এসব মামলা হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/মোআ)
মন্তব্য করুন