গরমে সুস্থ থাকতে কী খাবেন, কী খাবেন না
বাড়ছে গরম। বাড়ছে শরীরে পানি চাহিদা। এসময় খাবার খাওয়া নিয়ে একটু অনিয়ম হলেই ডাইরিয়া, হিটস্ট্রোক, হজমে গোলমাল, গ্যাস্ট্রিকসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শরীর ঠিক রাখতে খাবার খাওয়া নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। এই গরমে কী খাওয়া উচিত এবং কী খাওয়া উচিত না তা নিয়ে ঢাকাটাইমসের পাঠকদের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ গার্হস্থ অর্থনীতি কলেজের প্রভাষক মুনমুন খানের সাথে। তার দেয়া খাদ্য তালিকায় এক নজরে চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক।
গরমের যা খাবেন
প্রচুর পানিঃ
এই গরমে সবার শরীরই কম বেশি ঘামে। যার ফলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিদিন কম পক্ষে আড়াই থেকে সাড়ে তিন লিটার পানি পান করতে হবে।
মৌসুমী ফল
বাজারে এখন প্রচুর ফল মিলছে। এখন পাওয়া যাচ্ছে তরমুজ, বাঙ্গি, বেল, আম, লিচুসহ নানা ধরনের দেশিয় ফল। গরমে সুস্থ থাকতে বেশি করে দেশি ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুনমুন খান। এসব ফল জুস করেও খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের পাশাপাশি পানির চাহিদাও পূরণ হবে।
শাকসবজিঃ
বাজারে এখন চালকুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, করল্লা, শসাসহ নানান রঙিন ও রসালো সবজি পাওয়া যায়। এসব সবজি শরীরের জন্য ভাল। ভাজি না খেয়ে সবজি রান্না করে এসব সবজি খাওয়া উত্তম।
আমিষ
প্রতিদিন সবার শরীর সুস্থতার জন্য আমিষের চাহিদা রয়েছে।এই গরমে আমিষ খাবারের মধ্যে মাছ খাওয়াই উত্তম। মুনমুন খান পাঙ্গাস মাছ বাদে অন্য মাছ বেশি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
টক জাতীয় খাবার
গরমে টক জাতীয় খাবার শরীরের জন্য ভাল।বিশেষ করে লেবু পানি এই গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।তাই এ গরমে টক খেতে হবে বেশি বেশি।
কী খাবেন না
শুকনো খাবার
এই গরমে শুকনো জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভাল। এতে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাতে পারে। শাকসবজি ভাজি করে না খেয়ে রান্না করে খেতে হবে। তাতে শরীরের পানির চাহিদা পূরণ হবে।
স্যালাইন
অনেকেরই ধারণা এই গরমে যেহেতু শরীর ঘামে তাই স্যালাইন পানি খেলে লবণ চাহিদা পূরণ হবে। কিন্তু মুনমুন খান জানিয়েছেন এটা একটি ভুল ধারণা। গরমে ঘেমে আমাদের শরীর থেকে সোডিয়াম জাতীয় লবণ বের হয়ে যায়। কিন্তু স্যালাইনে থেকে পটাশিয়াম জাতীয় লবণ। তাই ডাইরিয়া বা বমি হওয়া ছাড়া স্যালাইন খাওয়া যাবে না।
চা কফি
শরীর চাঙ্গা করার জন্য আমরা সারাদিনে অনেক বার চা বা কফি পান করে থাকি। কিন্তু এর ক্যাফেইন এই গরমে শরীরে পানির চাহিদা আরো বৃদ্ধি করে। তাই এ গরমে চা বা কফি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
মসলাযুক্ত
মসলাযুক্ত খাবার এই গরমে খাওয়া যাবে না।এই গরমে এই ধরনের খাবার সহজে হজম হয় না এবং শরীর উত্তপ্ত করে। তাই মসলাযুক্ত খাবার এবং ফাস্টফুড এই গরমে এড়িয়ে চলতে হবে।
রাস্তার পাশের শরবত
গরমে অনেকেই তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশে আখের রস, লেবু পানি, পেপে ইত্যাদির শরবত খান। কোন অবস্থায়ই এসব খাবার খাওয়া যাবে না। এতে জন্ডিস টাইফয়েডের মত মারাত্মক পানিবাহিত রোগ হতে পারে।
ঢাকাটাইম্স/১৮ মে/টিজেটি/এজেড
মন্তব্য করুন