ধূমপান ছাড়াও হতে পারে মুখের ক্যানসার! যে লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন
ক্যানসারকে বলা হয় মরণব্যাধী। এর বিভিন্ন ধরণ আছে। তার একটি মুখের ক্যানসার। এর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। দীর্ঘদিনের ধূমপান ও মদ্রপানের অভ্যাসই ডেকে আনে এই মরণরোগের ঝুঁকি। জেনে-বুঝেও এই অভ্যাসের ফাঁদে পা দেন অনেকেই।
প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে মুখের ক্যানসার সম্পূর্ণভাবে সারিয়ে তোলা যায়। ঠোঁট, জিভ, গালের ভেতরের অংশ, মাড়ি, মুখের শক্ত ও নরম তালু, গলার নীচের অংশ— মুখের এসব অংশই ক্যানসারে আক্রান্ত হয় বেশি।
তামাকজাত পদার্থ ছাড়াও হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)-এর সংক্রমণ, পরিবারের কারও মুখের ক্যানসারের ইতিহাস, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, অপুষ্টি ইত্যাদি কারণেও মুখে ক্যানসার হতে পারে। কোন কোন লক্ষণ দেখলে এ বিষয়ে সতর্ক হবেন?
১। গালের নীচের দিকে কিংবা গলায় কোনো ফোলা অংশ, যা বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে, কিন্তু কোনো ব্যথা নেই বললেই চলে— এমন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হতে হবে।
২। ঠান্ডা লাগলে বা কোনো ভাইরাল সংক্রমণ হলে গলায় ব্যথা হয়, ঢোঁক গিলতেও সমস্যা হয়। তবে সেই ব্যথা স্বল্প দিনের। দীর্ঘ দিন পরেও এমন ব্যথা না কমলে সতর্ক হতে হবে।
৩। মুখের ভেতরে কোনো ব্যথাহীন ফোলা অংশ রয়েছে, যা ক্রমশ বাড়ছে কিংবা মুখের ভেতরে মাংসপিণ্ড জমাট বেঁধে ধীরে ধীরে বড় আকার নিচ্ছে, এমনটাও ক্যানসারের লক্ষণ।
৪। মুখের মধ্যে কোনো সাদাটে বা লালচে ছোপ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বিশেষত তিনি যদি ধূমপায়ী হন কিংবা তামাক জাতীয় পদার্থের প্রতি আসক্ত হন, তাহলে চিন্তা আরও বেশি। লিউকোপ্লেকিয়া অর্থাৎ সাদাটে ছোপ হলো ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ।
৫। জিভ নাড়াতে অসুবিধা হচ্ছে? কথা বলার সময় জিভে ব্যথা হচ্ছে? এই যন্ত্রণাও কিন্তু মুখের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। তাই সতর্কতার সঙ্গে এসব বিষয় লক্ষ্য রাখুন, ধূমপান-মদ্যপান ছাড়ুন। তাহলেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্ত হবে।
(ঢাকাটাইমস/১০ডিসেম্বর/এজে)
মন্তব্য করুন