গণঅভ্যুত্থানে নিহত রোহিঙ্গা তরুণকে শহীদের মর্যাদা দিচ্ছে সরকার

জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত একমাত্র রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত শহীদ নূর মোস্তফা অবশেষে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে আইনি জটিলতায় ঝুলে থাকা এ স্বীকৃতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার বিকালে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সেখানে জানানো হয়, গত ২২ জুন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নূর মোস্তফার স্বীকৃতির প্রস্তাব উপস্থাপন করেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এরপর বিষয়টি নিয়ে গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর কাজ শুরু করেছে। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান তিনি।
নূর মোস্তফা ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানার সামনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তার বাবা শফিউল আলম ও মা নূর বেগম ১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন এবং ঈদগাঁও এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
নূর মোস্তফার জন্ম ও শিক্ষাজীবন বাংলাদেশেই হলেও, তার বাবা–মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় শহীদের তালিকায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ফলে তাঁর পরিবার কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি কিংবা সহায়তাও পায়নি।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই উদ্যোগকে মানবিক ও সময়োপযোগী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত হয়েও বাংলাদেশের মাটিতে গণআন্দোলনে প্রাণ দেওয়া নূর মোস্তফার স্বীকৃতি দেশের ইতিহাসে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেও তারা মন্তব্য করেছেন।

মন্তব্য করুন