পেটের চর্বি কমাবে ‘পিরামিড ওয়াকিং’! যে নিয়মে হাঁটতে হবে

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০১ জুলাই ২০২৫, ০৯:০১
অ- অ+

হাঁটা সবসময় শরীরের পক্ষে উপকারী। যেকোনও ওয়ার্ক আউট করতে না পারলেও দিনে একটা নির্দিষ্ট সময় হাঁটলে অনেকটাই উপকার পাওয়া যায়। তাই ভালো থাকার জন্য নিয়মিত একটু হলেও হাঁটতে পরামর্শ দেন। হাঁটা এমন একটা উপায় যাতে সহজেই যেকোনও রোগ নিরাময় সম্ভব।

খুব জোরে হাঁটাও নয়, আবার ধীরেসুস্থে হাঁটাও নয়। হাঁটতে হবে এমন ভাবে, যাতে ঘামও ঝরে আবার শরীর ক্লান্তিও না আসে। হন্তদন্ত হয়ে হাঁটা নয়, দৌড়নোও নয়, এমন হাঁটা নিয়েই এখন চর্চা বেশি হচ্ছে। তারকা থেকে খেলোয়াড়, ফিট থাকতে পিরামিড ওয়াকিং অভ্যাস করছেন অনেকেই।

পিরামিডের আকার মনে করুন। নীচের অংশের আয়তন বেশি, উপরের অংশটা ধীরে ধীরে সরু হয়েছে। হাঁটার পদ্ধতিও এমন আকারকে মাথায় রাখলেই হবে। শুরু করতে হবে ধীরে ধীরে। হাঁটতে হবে এক পা, দু’পা করে। তার পর গতি বাড়বে আর একটু। শরীর সয়ে গেলে এবং কোনও সমস্যা না হলে, গতি আরও বাড়াতে হবে। শেষের দিকে বেশ জোরেই হাঁটতে হবে। আবার গতি কমিয়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসতে হবে।

হাঁটার চার ধাপ

ওয়ার্ম আম

ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ় করে শরীর চনমনে করে নিতে হবে। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে স্পট জগিং বা জাম্পিং জ্যাক করতে পারেন। এতে কাজ হবে বেশি। ওয়ার্ম আপের জন্য সময় দিতে হবে ৩ থেকে ৫ মনিট।

বিল্ড-আপ পর্ব

‘ব্রিস্ক ওয়াকিং’ দিয়ে শুরু করতে হবে। অর্থাৎ, ধীরে হাঁটা শুরু করতে হবে। ১ মিনিট দুলকি চালে হাঁটলে পেশির আড়ষ্টতা দূর হবে।

এর পরের ৩ মিনিট গতি আর একটু বাড়ান। একটানা হাঁটতে হবে, বিরতি নিলে হবে না।

পিক পর্ব

গতি একই রকম রেখে, আরও ৪ মিনিট খুব জোরে হাঁটতে হবে। যদি ঢালু পথে হাঁটতে পারেন, তা হলে বেশি ভাল হবে।

কুল-ডাউন পর্ব

ধীরে ধীরে গতি কমাতে হবে। পরের ৩ মিনিট আস্তে হাঁটুন। এতে শরীরের রক্তচাপে ভারসাম্য বজায় থাকবে। গতি আরও কমাতে হবে। পরের ২ মিনিট আরও ধীরে হাঁটতে হবে। গতি একেবারে কমিয়ে আবার দুলকি চালে ফিরে যান। ১ মিনিট এ ভাবে হেঁটে বিশ্রাম নিন।

পিরামিড ওয়াকিংয়ের জন্য ২০-২৫ মিনিট সময় হাতে রাখতে হবে। তার মধ্যেই চারটি পর্ব শেষ করতে হবে। এতে শরীরের ধকলও কম হবে আবার হাঁটাও হবে নিয়ম মেনে। বয়স্কদের জন্য খুবই ভাল হাঁটার এই পদ্ধতি। যাঁরা হাঁটাচলা কম করেন, একটু বেশি হাঁটলেই পায়ে ব্যথা হয়, তাঁরা পিরামিড ওয়াকিং দিয়েই শরীরচর্চা শুরু করুন। হাঁটার এই পদ্ধতির প্রতিটি ধাপই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রতি মিনিটে ক্যালোরি পুড়বে। ভারী খাবার খাওয়ার পরেও যদি এ ভাবে হাঁটেন, তাতে হজম ভাল হবে, বাড়তি ক্যালোরি ঝরে যাবে।

পিরামিড ওয়াকিং যে কেবল মেদ কমাবে, তা-ই নয়, এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল। ডায়াবেটিসের রোগীরা এই পদ্ধতিতে হাঁটলে রক্তে শর্করা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে। তবে যাদের হার্টে অস্ত্রোপচার হয়েছে অথবা আর্থ্রাইটিসের সমস্যা আছে, তারা প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে তবেই হাঁটা শুরু করবেন।

(ঢাকাটাইমস/১ জুলাই/আরজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সরকারি অনুদান পাচ্ছে ৩২ চলচ্চিত্র, তালিকা প্রকাশ
ঢাকায় সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত
মগবাজারে হোটেলে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, কেয়ারটেকার গ্রেপ্তার
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৫৬ বন্দির সাজা মওকুফ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা