সারজিস-হাসনাতকে ১০০ বার কল দিলেও রিসিভ করে না: শহীদ জাহিদের মা

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে যারা ক্ষমতায় বসেছে যাদের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতায় পেয়েছে তারা এই আন্দোলনে শহীদ আবদুল্লাহ বিন জাহিদের পরিবারের কোনো খোঁজ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তার মা ফাতেমা তুজ জোহরা। একই সঙ্গে সারজিস-হাসনাতদের ১০০ বার কল দিলেও তারা রিসিভ করেন না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আবদুল্লাহ বিন জাহিদের মা বলেন, ‘আমার দুই ছেলে। বড় ছেলে আব্দুল্লাহ বিন জাহিদের বয়স ১৭ বছর, ছোট ছেলের বয়স ১৪ বছর। আমার বড় ছেলে মারা যাবার ১৪ দিনের মাথায় আমার ছোট ছেলের ক্যানসার ধরা পড়ে। সে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মে মাসের ১৮ তারিখে আমার স্বামী ব্রেন স্ট্রোক করে মারা যান। ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ থেকে আমার ছোট ছেলের খোঁজ-খবর নেয় এবং তার চিকিৎসার খরচের দায়িত্ব নেয়। আগামী শুক্রবার ছোট ছেলের আরেকটা অপারেশন হবে। আমার শেষ অবলম্বনটুকু যেন আমরা কাছে থাকে এজন্য সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এই উপদেষ্টা ও অন্তর্বর্তী সরকার আজ পর্যন্ত আমাদের খোঁজ নিতে পারে নাই। আমার ছেলের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতা পেল তারা, একবারও আমাদের খোঁজ নিল না। এমনকি সারজিস-হাসনাতকে আমরা ১০০টা ফোন দিলেও তারা রিসিভ করে না।’
এসময় তিনি বলেন, আমরা বিএনপি পরিবার আজ আমাদের সাথে না থাকলে আমাদের আজ রাস্তায় নামতে হতো, আমার ছোট ছেলেও আজ দুনিয়াতে থাকত না।
অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত আছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেবেন দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারগুলোর জন্য সম্মানসূচক আসনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে এসব পরিবারকে ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, জাহিদ হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা উপস্থিত আছেন।
(ঢাকাটাইমস/১জুলাই/এলএম/এসএ)

মন্তব্য করুন