গেন্ডারিয়ায় দুই নারীসহ হানি ট্র্যাপ চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানাধীন নারিন্দা এলাকা থেকে হানি ট্র্যাপ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আহাম্মেদ ভূইয়া, মো. বাবু প্রকাশ ওরফে মাসুম, মো. শামীম, মাকসুদা আক্তার প্রকাশ ওরফে মিতু, মায়া আক্তার ও আলমগীর প্রকাশ। তারা সবাই নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
সোমবার বিকালে ঢাকায় নারিন্দা প্রতারণার ফাঁদ পাততে গেলে সংঘবদ্ধ এই চক্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহেদ খান ঢাকা টাইমসকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সুপরিকল্পিত হানি ট্র্যাপ চক্র। এ চক্রের নেতৃত্বে রয়েছে মাকসুদা আক্তার মিতু ও মায়া আক্তার নামের দুই নারী। তারা ইমো, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ধর্নাঢ্য তরুণ ও মধ্যবয়সী পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর ভিডিও কলে কথা বলে নিজের স্পর্শকাতর স্থান দেখায় ও বিপরীত ব্যক্তিকেও দেখাতে বলে এবং ভিডিও আলাপের স্ক্রিনশট ও ভিডিও করে রাখে। এরপরই শুরু হয় তাদের চাঁদাবাজি। মোটা অঙ্কের টাকা না দিলে এসব ছবি বা ভিডিও সামাজিকভাবে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। কেউ রাজি না হলে, কৌশলে তাদের কোনো ফ্ল্যাট বা হোটেলে ডেকে নিয়ে মারধর ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়।
গেন্ডারিয়া থানার ওসি জানান, সোমবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে চারটায় গেন্ডারিয়ার নারিন্দা এলাকায় এমন একটি হানি ট্র্যাপের পরিকল্পনা চলাকালে পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে আমরা তাদের গ্রেপ্তার করি।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভয়াবহ এই অপরাধের বিষয়গুলো স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এই চক্র গত ২৮ জুন গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় এক হিন্দু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে একই কায়দায় মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে। ভুক্তভোগী লোকলজ্জার ভয়ে মামলা করতে রাজি হননি।
এছাড়া চক্রের মূলহোতা মাকসুদা আক্তার মিতু ও তার সহযোগী আহমেদের বিরুদ্ধে পূর্বেও রূপগঞ্জ থানায় অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে, যা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ আদালতে বিচারাধীন।
(ঢাকাটাইমস/১জুলাই/এলএম)
মন্তব্য করুন