নামে নামে যমে টানে, কারাগারে টাঙ্গাইলের নিরপরাধ রফিকুল
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার চতলবাইদ (ভূইয়াপাড়া) গ্রামের আসামির নামের সাথে নিরপরাধ দিনমজুর রফিকুল ইসলাম এক ব্যক্তির নাম ও গ্রামের নামে মিল থাকায় ছয় দিন ধরে জেলহাজতে রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সখীপুর উপজেলার চতলবাইদ (ভূইয়াপাড়া) গ্রামের মৃত ঠান্ডু মিয়ার ছেলে দিনমজুর রফিকুল ইসলাম। শুধু গ্রাম ও নামের মিল দেখে ১৪ মে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং ১৫ মে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠায়। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে রফিকুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রফিকুল কারগারে থাকায় চার সন্তান নিয়ে তার স্ত্রী নাজমা বেগম অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।
মামলার বাদী উপজেলার গজারিয়া গ্রামের সায়েজ উদ্দিন বলেন, ২০১৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ক্যারাম খেলা নিয়ে উপজেলার চতলবাইদ গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৫) তার ভাগনে খায়রুলের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় পরের দিন তিনি রফিকুল ও আরও একজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলার প্রকৃত আসামি রফিকুল হলেও বাবার নাম আবদুর রশিদ, বাড়ি চতলবাইদের ভাতকুড়া চালায়, বয়স ২৫ বছর। দোষী ব্যক্তি সাজা পেলে খুশি হতাম। এর আগেও একইভাবে গ্রেপ্তার হওয়ায় নির্দোষ রফিকুলকে বাঁচাতে আমি স্বাক্ষী দিয়ে জেল থেকে ছাড়িয়ে এনেছিলাম। প্রয়োজনে এবারও তাকে আদালতে সাক্ষী দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনব।
তিনি বলেন, পুলিশ প্রকৃত আসামিকে গ্রেপ্তার করুক আমি এটি চাই। বিনা দোষে কেউ কারাভোগ করুক এটি আমি চাই না।
গত ২০১৫ সালের ১৪ মে একই মামলায় একই ভুলে তাকে গ্রেপ্তার করে সখীপুর থানা পুলিশ। আদালতে নেয়া হলে আদালতে তাকে কারাগারে পাঠায়। পরে মামলার বাদী সায়েজ উদ্দিনের সহায়তায় রফিকুল ওই বছর ১৬ মে তিন দিন কারাভোগের পর মুক্তি পান।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকছুদুল আলম বলেন, নাম-ঠিকানা মিল থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুল হয়েছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মামলার বাদীকে থানায় ডাকা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন এবং এর সাথে যদি পুলিশের কোন গাফিলতি থাকে, সে বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা রফিকুল ইসলামকে আইনি সহায়তা প্রদান করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
(ঢাকাটাইমস/২০মে/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন