তিন কিশোরের পাওয়া প্রাচীন ‘কষ্টিপাথর’ আত্মসাতের অভিযোগ
কচুয়া উপজেলার মাঝিগাছি গ্রামের পরিত্যক্ত বাড়িতে তিন কিশোরের পাওয়া একটি প্রাচীন ‘কষ্টিপাথর’ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগ নেতা ওই কষ্টিপাথরটি কিশোরদের কাছ থেকে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এখন তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন, দেশ ছাড়ার গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।
তিন কিশোরের বর্ণনা থেকে এলাকাবাসী ধারণা করছে, শত শত বছরের পুরনো এই কষ্টিপাথরের দাম কয়েক কোটি টাকা হবে।
এই ঘটনা জেনে একই বাড়ির আওয়ামী লীগ নেতা মো. কামরুল হোসেন র্যাব ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে কষ্টিপাথরসহ তিন কিশোরকে তার বড় ভাই কাস্টমস অফিসার আ. লতিফের ঢাকার বাসায় নিয়ে যান।
পরে ঢাকায় নানা কারসাজি করে তিন কিশোরকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন কামরুল। কয়েক দিন পরে তিনি বাড়িতে এসে রাতের অন্ধকারে তিন কিশোরকে ডেকে নিয়ে জানান, এটি কোনো কষ্টিপাথর না। এটি ভুয়া পাথর।
কিন্তু কামরুলের কথায় সন্দেহ হওয়ায় তিন কিশোর ও তাদের বাবা-মা পাথরটি দেখতে চান। কামরুল আজ দেখাবেন, কাল দেখাবেন বলে নানা অজুহাতে প্রায় এক মাস পার করে দেন।
এতে পুরো এলাকায় গুপ্তধন (কষ্টিপাথর) পাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। গ্রামবাসী সম্মিলিতভাবে কামরুলকে চাপ দিলে তিনি ঢাকা থেকে একটি কষ্টিপাথর এনে দেখান। কিন্তু তিন কিশোর এই পাথর অস্বীকার করলে কামরুল কৌশলে এলাকা থেকে পালিয়ে যান। এরই মধ্যে এলাকায় শোনা যাচ্ছে, কামরুল মূল কষ্টিপাথর বিক্রি করে দিয়েছেন। প্রশাসনের দৃষ্টি এড়াতে অসুস্থতার অজুহাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। যেকোনো মুহূর্তে তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যেতে পারেন।
পালিয়ে যাওয়ার আগেই কামরুলকে গ্রেপ্তার করে মূল কষ্টিপাথরটি উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন তিন কিশোর ও এলাকাবাসী।
(ঢাকাটাইমস/২৪মে/মোআ)
মন্তব্য করুন