কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’
কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মোরা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার উপকূলে প্রবল ঝড়ো হাওয়া বইছে। প্রাথমিকভাবে সেন্টমার্টিনে বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ার এবং গাছপালা ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে কক্সবাজার অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড়টি উত্তরে চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হবে।
সেন্টমার্টিনে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৪ কিলোমিটার এবং টেকনাফে ঘন্টায় ১১৫ কিলোমিটার রেকর্ড করেছে আবহাওয়া বিভাগ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, ‘মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করে। ওই সময় বাতাসের গতিবেগ কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বা তার বেশি ছিল। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করে পুরোপুরি স্থলভাগে আসতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে হতে পারে।’
তিনি জানান, বাতাসের গতিবেগ এর চেয়ে বাড়বে না বলে তারা আশা করছেন। বরং উপকূলের দিকে এগুনোর সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ আরও কমতে পারে।
তবে তারা বলছেন. ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রস্থল এখনো কক্সবাজার অতিক্রম করেনি।
ঘূর্ণিঝড়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। অনেক কাঁচা বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে এবং অনেক গাছ উপড়ে পড়েছে।
তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, শাহপরীর দ্বীপ এবং টেকনাফে গভীর রাত থেকেই ঝড়ো হাওয়া বইছিল।
বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে সমুদ্রের পানি প্রবেশ করে শাহপরীর দ্বীপ, মহেশখালী এবং কক্সবাজারের কিছু নিম্নাঞ্চল এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এসব বেড়িবাঁধের অনেকগুলোই গতবছর ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, তারা জেলার ৫৩৮ টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড় মোরার কেন্দ্র থেকে ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে এখনো বাতাসের গতিবেগ ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার রয়েছে।
উপকূলে আঘাত হানার সময় এই গতিবেগ বাড়তে বা কমতে পারে।
(ঢাকাটাইমস/৩০মে/জেডএ)
মন্তব্য করুন