সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন সমুদ্র উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে। ঝড়ে সেন্টমার্টিনে প্রায় দেড় শতাধিক এবং টেকনাফ ও কক্সবাজারে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি গাছপালা উড়ে গেছে। এসব এলাকায় প্রচণ্ড বেগে বাতাস বইছে। সঙ্গে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি গতির বাতাস নিয়ে মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড়টি।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূর আহম্মদ জানিয়েছেন, এ ইউনিয়নে দেড় শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় গাছপালা উপড়ে গেছে।
ভোর ৬টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি সেন্টমার্টিনে আঘাত হানে জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে এখন প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এখানকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র ও হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা সবাই খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন এলাকায়ও বেশ কিছু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, উপড়ে গেছে কিছু গাছপালা। এছাড়া কিছু লোক আহত হয়েছে বলে শুনেছেন সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন। তবে তিনি আহতদের সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ভোর ৬টার দিকে কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে মোরা। তার আগে থেকেই হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এখানে বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে গেছে।
তিনি বলেন, এসব এলাকায় এখন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। ১৯৯১ ও ১৯৯৪ সালে আঘাত হানা ঝড়ের চেয়ে এবারের ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ কিছুটা বেশি বলে স্থানীয় লোকজন তাদের জানাচ্ছেন।
(ঢাকাটাইমস/৩০মে/জেডএ)
মন্তব্য করুন