ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড কক্সবাজার
ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বহু দোকান। ঝড়ে উড়ে গেছে বিশ্বের দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতটির কোলঘেঁষে থাকা বিভিন্ন পয়েন্টের অনেক দোকানের চালা। এতে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখনো কক্সবাজার উপকূলজুড়ে বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো হাওয়া।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোরা। এরপর সেটি উত্তর চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হয়। কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানার সময় সেন্টমার্টিনে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১৪ কিলোমিটার এবং টেকনাফে এই গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১৫ কিলোমিটার। পরে বাতাসের গতিবেগ কমতে থাকে।
সকাল সাড়ে সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্ট, কলাতলী, ইনানী সী বিচে গিয়ে ঝূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মোরায় আঘাতে উপকূলজুড়ে শুধু ধ্বংসের চিহ্ন। বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকতটির এসব পয়েন্টে যেসব দোকান ছিল সেগুলোর অধিকাংশের চালা উড়ে গেছে। এসব অনেক দোকান মালিককে হতাশ হয়ে থাকতে দেখা গেছে। তাদের সবার চোখেমুখে ছিল হাতাশার চাপ।
কলাতলী পয়েন্টের দোকানি মাহফুজ জানান, ‘সামনের ঈদুল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে অনেক মালামাল দোকানে তুলেছিলাম। ভালো ব্যবসা হবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু ঝড় এসে আমার সব স্বপ্ন উড়ে নিয়ে গেল। এখন কেমনে কী করমু কিছু বুঝতে পারছি না।’
তিনি যখন কথাগুলো বলছিলেন তখন তার পাশে আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী দাঁড়িয়ে তার কথাগুলো শুনছিলেন। এ সময় তাদের সবার চোখেমুখে ছিল হতাশার ছাপ।
সাড়ে ১১টার দিকে সৈকতজুড়ে দেখা গেছে ঝড়ের তাণ্ডবের ক্ষতচিহ্ন। উপকূলজুড়ে শুধু ধ্বংসের চিহ্ন। অধিকাংশ দোকানের চালা নেই।
ঘূর্ণিঘড় মোরায় কক্সবাজার সৈকতের মতো সেন্টমার্টিনের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭০ ভাগ কাঁচা ঘরবাড়ি আর বাকিগুলোর মধ্যে সেমিপাকা বাড়িও আছে। এছাড়া ঝড়ে এই ইউনিয়নের অনেক জায়গায় গাছপালা উপড়ে গেছে।
ঢাকাটাইমস/৩০মে/এমআর
মন্তব্য করুন