বরিশালের ঈদবাজারে তরুণীদের পছন্দ ‘দেবসেনা’
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর, যে কারণে বরিশাল নগরীর বিপণি বিতানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। বিক্রিও হচ্ছে দেদারছে। দম ফেলানোর ফুরসত পাচ্ছেন না বিক্রেতারা।
প্রতি বছর ১৬ রমজানের পরে ক্রেতাদের দেখা মিললেও এবার ১২ রমজান থেকেই বরিশালের পোশাকের বাজারগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। ফুটপাত থেকে বহুতল ভবন সব মার্কেটেই জমে উঠেছে কেনাকাটা।
গত বছর ঈদ বাজারে পাখি, কিরণমালাসহ বাহারি নামে পোশাক বিক্রি হলেও এবারের ঈদ বাজার বাহুবলী-২, দেবসেনা, রাখী বন্ধনের দখলে। তবে ঈদকে সামনে রেখে বাজারে নতুন আসা ‘দেবসেনা’ নামের পোশাকটি আগে খুঁজছে তরুণীরা।
নগরীর কাটপট্রির সৈয়দ ক্লথ স্টোরের রতন মুহুরী ঢাকাটাইমসকে জানান, তুলনামূলকভাবে গত বছরের চেয়ে এ বছরে পোশাকের দাম অনেকটাই কম। এর মধ্যে বিভিন্ন নামে বিক্রি হওয়া তরুণীদের পোশাকগুলোর দাম একটু চড়া। ‘দেবসেনা’ নামের পোশাকটির চাহিদা বেশি বলে জানান তিনি।
বেশ কয়েকটি বিপণি বিতানের কর্মচারীরা জানান, তরুণীদের বিভিন্ন বাহারি নামের পোশাকের মধ্যে দেবসেনা সাত থেকে আট হাজার, সাহো-রে তিন থেকে সাড়ে ছয় হাজার, বাহুবলী-২ পাওয়া যাচ্ছে আড়াই হাজার থেকে ছয় হাজার টাকার মধ্যে। আর মহারানী আড়াই হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার, গোল জরজেট আড়াই হাজার থেকে চার হাজার, গাউন দেড় হাজার থেকে তিন হাজার, লেহেঙ্গা তিন থেকে আট হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
তরুণীদের পাশাপাশি বেশিরভাগ নাড়ি ভিড় করছেন শাড়ির দোকানগুলোতে।
নগরীর চকবাজারের স্বদেশী বস্ত্রালয়ের উজ্জ্বল দেবনাথ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এবারের ঈদে জামদানি ও কাতান বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও সিল্ক, বালুচরি ও ইমন নামের শাড়িগুলোর কদর রয়েছে এবারের ঈদ মার্কেটে। এর মধ্যে তরুণীরা ইমন শাড়িটি বেশি কিনছেন।’
এই বিক্রেতা বলেন, ‘এবারের ঈদ মার্কেটে কাতান বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে, জামদানির দাম দুই থেকে ১৫ হাজারের মধ্যে, সিল্কের দাম ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা, বালুচরি পাঁচ থেকে ১৫ হাজার টাকা ও বাহারি নামের শাড়ির মধ্যে ইমন বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে ১৪ হাজার টাকার মধ্যে।’
সোনালী ব্যাংকের সুমাইয়া ফাল্গুন নামে এক কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে বলেন, মূলত ঈদে পোশাক কেনাকাটা করার আনন্দই আলাদা। তবে গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় সিরিয়াল ও মুভির বিভিন্ন চরিত্রের নামের সাথে মিল রেখে পোশাকের কদরই বেশি দেখছি।’
বরিশালের ঈদবাজারে শুধু মেয়েদের জন্য নয়, ছেলেদের এবং শিশুদের জন্য পৃথকভাবে রয়েছে বাহারি ডিজাইনের প্যান্ট, শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবির সমারোহ।
এদিকে ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন নগরীর টেইলার্সগুলোর দর্জিরা। সময়মত পোশাক ডেলিভারি দেয়ার চেষ্টায় রাতদিন খেটে যাচ্ছেন তারা। দর্জিরা জানিয়েছেন- ঈদের আগের দিনের মধ্যে সব অর্ডার শেষ করার জন্য রাত জেগে কাজ করছেন তারা।
(ঢাকাটাইমস/১৫জুন/প্রতিনিধি/জেবি)
মন্তব্য করুন