‘আমরা যেকোনও দলকে হারাতে পারি’
ফাইনাল ম্যাচের সংবাদ সম্মেলন। অধিনায়কের কথাই তো সবাই শুনতে চাই। লন্ডন সময় দুপুর দেড়টায় যখন পাকিস্তান দলের ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রবিন্দু সরফরাজ আহমেদ থাকলেন না, সবার দৃষ্টি কোচ মিকি আর্থারের দিকে। কারণ, পাকিস্তানি অধিনায়ক যে তেমন ইংরেজি জানেন না।
মিনিট বিশেকের সংবাদ সম্মলনের প্রায় পুরোটাই কথা বললেন কোচ। উর্দুতে গোটা কয়েক প্রশ্নের জবাব দিলেন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। তিনি কথা বলেন অনর্গল, অত্যন্ত দ্রুত। যেন স্কুল পড়ুয়া ছাত্র গড়গড় করে বলে যাচ্ছে মুখস্থ কোনও প্রশ্নের উত্তর।
ওভালে রবিবারের ফাইনাল একপেশে নাকি লড়াই হবে, সেটা তো পরের ব্যাপার। পাকিস্তানি অধিনায়ক কিন্তু আশাবাদী, গড়গড় করে বলে দিলেন। দলে সেরকম তারকা ব্যাটসম্যান নেই। ওভালের মরা উইকেটে বোলিং আলোচনায় আসছে না। প্রধান কাজ হবে ব্যাটসম্যানদের। যেখানে ভারত শুধু এগিয়েই নয়, কোহলির দলের ধারের কাছেও নেই পাকিস্তান। কিন্তু সীমিত শক্তি নিয়েও ফাইনাল জয়ে আশাবাদী সরফরাজ আহমেদ।
বললেন, ‘গত তিন ম্যাচে যে ধরনের ক্রিকেট খেলেছি তাতে আমরা আশাবাদী। ভারত ম্যাচটার কথা আমরা মনে রাখতে চাই না। আমাদের শুরুটা ভালো ছিল না। কিন্তু আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। গত তিন ম্যাচ জেতার পর দেশ থেকে, মিডিয়া থেকে যে ধরনের সমর্থন ও প্রেরণা পাচ্ছি তাতে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে আমাদের। আমরা প্রস্তুত। ভারত খুবই শক্তিশালী দল। তবে আমরা যদি একটা দল হিসেবে খেলতে পারি এবং সেরাটা দিতে পারি তাহলে মাশায়াল্লাহ জয় সম্ভব। আমরা সেটার জন্যই অপেক্ষা করছি।’
দলের তরুণ খেলোয়াড়দের প্রশংসা করে সরফরাজ বলেন, ‘এ ধরনের টুর্নামেন্টে অভিজ্ঞতা বড় ব্যাপার। তবে ভালো দিক হলো, আমাদের কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড় বড় ম্যাচে ভালো করছে। এই টুর্নামেন্টের জন্যই এটা শুধু ভালো দিক নয়, আগামী বিশ্বকাপের জন্যও এটা ভালো ব্যাপার।’
কোচও ব্যাপারটা দারুণ পজিটিভ হিসেবে দেখছেন। এজবাস্টনের দুঃস্মৃতি ভুলে রবিবার দল গত তিন ম্যাচের ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে বলে আশা করেন কোচ মিকি আর্থার। ফাইনালের জন্য তার দল পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানান পাকিস্তান কোচ।
মিকি বলেন, ‘এজবাস্টনে ভারতের কাছে হেরে ছেলেরা চুপ হয়ে গিয়েছিল। এখন তারা দারুণ মুডে। ড্রেসিং রুমে পরিবেশ অসাধারণ। ফাইনাল নিয়ে তারা উত্তেজিত। আশা করি ফাইনালে তারা সবকিছু উজাড় করে দিবে। আর সবাই যদি তা করতে পারে, তাহলে আমরা যেকোনও দলকে হারাতে পারি।’
(ঢাকাটাইমস/১৭ জুন/ডিএইচ)
মন্তব্য করুন